রাবিতে শিক্ষার্থীদের আটকের চেষ্টা, রুখে দাঁড়ালেন শিক্ষকরা

  • রাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাবিতে শিক্ষকার্থীদের আটকের চেষ্টা

রাবিতে শিক্ষকার্থীদের আটকের চেষ্টা

সারাদেশে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিলে অংশ নেন। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীদের জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় সিভিল ড্রেসে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে শিক্ষকরা বাধা হয়ে দাঁড়ালে শিক্ষার্থীদের আটক করতে পারেনি তারা।

বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা যায়, সারাদেশে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ‘ছাত্র জনতার খুনিদের প্রতিহত করুণ’ ব্যানার নিয়ে লাল কাপড় মুখে বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষকগণ। এসময় তাদের সাথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যোগ দিলে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় সহপাঠীদের ছাড়িয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে এসেছিলেন। কিন্তু মৌন মিছিল শেষে হঠাৎ করে তাদেরকে জোর করে তুলে নিতে চাইলে তারা শিক্ষকদের সহযোগিতা চান। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দুজনকে আটক করেছে বলে অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে বারীন্দ্র মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী লাবন্য বলেন, আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে মৌন মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু সিভিল ড্রেসে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদেরকে আঘাত করে। আমার ভাইদের বিনা কারণে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। আমাদের অপরাধ কী? আমরা কোনো মামলার আসামি না তাহলে কেন আমাদের আটক করবে। আমরা সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলে আজকের এই মৌন মিছিলে এসেছিলাম।

মৌন মিছিলে অংশ নেওয়া গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আপনাদের কাছে শিক্ষার্থীদেরকে আটক করার কোনো নথিপত্র নেই। সন্দেহের বশে কাউকে আটক করা অন্যায়। আপনারা এমনটা কখনোই করতে পারেন না। এরপর যদি কোনো ছাত্রের গায়ে হাত পড়ে এবং আমার সহকর্মীদের গায়ে আঘাত লাগে, এটা কিন্তু আমরা মেনে নেবো না। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসবে, তাই বলে পুলিশ প্রশাসন কোনো শিক্ষার্থীকে এভাবে তুলে নিতে পারে না। তাদের নামে কোনো মামলা নেই যে তারা আসামি। আপনারা আপনাদের কাজ করুন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থান করতে বলি। তবে যদি কোনো বহিরাগত শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তাহলে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। বর্তমানে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমার শিক্ষার্থীরা বাসায় আছে। কোনো ছাত্রের হয়রানি হোক আমরা এমনটা কখনোই চাই না। আমরা জানতে পেরে সকল শিক্ষার্থীকে কাজলা গেইট পর্যন্ত নিয়ে গাড়িতে তুলে দেই।’