জাবিতে উপাচার্য, প্রক্টরসহ প্রশাসনের কর্তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: জাবির নতুন কলা ভবনের টিচার্স লাঞ্জে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

ছবি: জাবির নতুন কলা ভবনের টিচার্স লাঞ্জে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরসহ প্রশাসনের কর্তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষকদের একাংশ।

শনিবার (৩ আগষ্ট) বিকেলে 'নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমাজের ব্যনারে নতুন কলা ভবনের টিচার্স লাঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

এসময় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হল খুলে দেয়ার দাবিকে সমর্থন করেন। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জোর দাবিও জানান তারা।

পুরো সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ, ছাত্রলীগসহ বহিরাগতদের হামলার বিষয়ে ভিসিসহ বর্তমান প্রশাসনের ভূমিকাকে কঠোর সমালোচনা করে নিন্দা জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক প্রাণহানি, হাজারো শিক্ষার্থী-জনতার আহত হওয়া, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা, গণগ্রেপ্তার, আটক এবং হেনস্থার ঘটনা সুস্পষ্ট মানবাধিকারের লঙ্ঘন উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ-জেইউ) শিক্ষকরা।

এসময় শিক্ষকরা আরও বলেন, যৌক্তিক দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি এবং সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। এছাড়াও, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ ও হয়রানি হতে রক্ষা করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীগণ গুরুতরভাবে আহত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন যা আমাদের অত্যন্ত ব্যথিত, মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ করেছে। ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন একটি সমাজ ব্যবস্থার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ও বৈধ দাবির প্রতি আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি এবং ক্ষতিগ্রস্থ সকলের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষকরা অনতিবিলম্বে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানান।