শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতে ইবি শাপলা ফোরামের স্মারকলিপি

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

দেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।

স্মারকলিপিতে প্রাণহানির ঘটনায় শোক ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে উদ্বেগ প্রকাশ এবং কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি ও কার্যকরে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনায় নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের ২১ জুলাই ২০২৪ এর রায় শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণ করায় শাপলা ফোরাম সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। তবে আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণ হওয়ার পরও শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের কাঁধে ভর করে একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য অদ্যাবধি রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষক নেতারা আরো বলেন, নিপীড়ন বিরোধী বলে দাবি করা কতিপয় শিক্ষক ও বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষকবৃন্দ কেবল তাদের মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের পক্ষে নিপীড়নের বিষয়ে সোচ্চার এবং অনেকক্ষেত্রে তাদের মতাদর্শের বাইরে মত প্রকাশ করলে সরাসরি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্ন মত প্রকাশকারীদের নিপীড়ন করছে। শাপলা ফোরাম কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের ও প্রতিটি ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের গ্রহণযোগ্য বিচারের প্রত্যাশা করছে। শাপলা ফোরাম আশা করে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক শিক্ষার্থীদের দাবির কাঙ্ক্ষিত সমাধান হওয়ায় তারা আন্দোলন পরিহার করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এছাড়াও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুততম সময়ে শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠনে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে ৫ দফা সুপারিশ করেছে ইবি শাপলা ফোরাম। সেগুলো হচ্ছে - আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ক্ষতিগ্রন্থ শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সহযোগিতার জন্য একটি 'সহায়তা সেল' গঠন, দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, হলসমূহে কেবল বৈধ শিক্ষার্থীদের অবস্থান ও মেধারভিত্তিতে হলের সিট বণ্টন এবং সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি প্রশাসনের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।