ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঢাবি সাদা দলের অভিন্দন

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঢাবি সাদা দলের অভিন্দন

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঢাবি সাদা দলের অভিন্দন

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সাদা দল সমর্থক শিক্ষকদের বিবৃতি।

শুক্রবার (৯আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের পক্ষে আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৮ আগস্ট ২০২৪ নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল সমর্থক শিক্ষকগণ স্বাগত, আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ছাত্র- শিক্ষক ও জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তার দেশ ছেড়ে পলায়নের ফলে দেশ যে সরকার বিহীন হয়ে পড়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তা পূরণ হওয়ায় আমরা আনন্দিত।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ এখন একটি চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ সময়ে দায়িত্বভার গ্রহণকারী সরকারের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ আছে। বিগত পনের বছরে স্বৈরাচারী সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে। কেবল ভোটের অধিকার নয়, মানুষের বাক স্বাধীনতাও কেড়ে নিয়েছে। সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে চরম সংকটে ফেলে দিয়েছে। নগ্ন দলীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দেশের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বার বার কারিকুলাম পরিবর্তন এবং নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় নতুন সরকার প্রাধান্য নির্ধারণের মাধ্যমে যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে এসব সমস্যা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিবেন বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে নেয়া এদেশের মানুষের পরম কাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষ এজন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। এতে প্রাণ দিয়েছেন অনেকেই। গুম হওয়া ছাড়াও স্বৈরশাসক দ্বারা নিপীড়ন-নির্যাতন ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সর্বশেষ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে গিয়ে গণঅভ্যুত্থানে শতশত ছাত্র-জনতা শাহাদাতবরণ করেছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এ আন্দোলনে সকল শহিদের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আমরা দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে আমরা আশা করি, শহিদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ ও জনমানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

গণতান্ত্রিক ধারায় দেশকে ফিরিয়ে নেয়াসহ সীমাহীন সমস্যা ও সংকট মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে কঠিন কাজ। তবে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন, এ সরকারের বিজ্ঞ সদস্যগণ তাঁদের মেধা, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সফল হবেন। আমরা সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরকারকে সহযোগিতা করতে বদ্ধ পরিকর।