ঢাবির উপাচার্যের পদত্যাগে বিক্ষোভ-সমাবেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ প্রো-ভিসি (প্রশাসন ও শিক্ষা), প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, কোষাধ্যক্ষ, সকল প্রভোস্টসহ সকল সিনেট এবং সিন্ডিকেট সদস্যদের পদত্যাগসহ ২টি দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তারা এই দাবি করেন।
এর কিছুক্ষণ পরই শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের একদল শিক্ষার্থী উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে তাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে মিছিল করেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রলীগ যখন ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে টোকাই ভাড়া করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে, তখন এই উপাচার্য কিছুই বলেননি। তাকেসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সিন্ডিকেট সদস্যকে পদত্যাগ করতে হবে।
এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লেজুরবৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিও তোলেন এই শিক্ষার্থীরা। এই দুই দাবিতেই বিক্ষোভ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী মু. মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও সিন্ডিকেট সদস্যরা নিজের পদে আসীন থাকার জন্য নানামুখী লবিং করছেন পদত্যাগ করার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ প্রশাসনের সবার সম্মতিতে আমাদের ওপর ছাত্রলীগের আক্রমণ হয়েছে, পুলিশের বর্বর হামলা হয়েছে। আমরা তাদের স্বপদে আসীন থাকতে দিবো না। আমরা তাদের পদত্যাগ না করিয়ে হলে, ক্লাস রুমে ফিরব না।’
ইসলামিক ইস্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নোংরা রাজনীতির শুরু করেছেন এই শিক্ষকরা। আমরা ক্যম্পাসে কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে কোনো রাজনীতি থাকবে না।
আরেক শিক্ষার্থী নুরুল গণি সগির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়, তখন উপাচার্য বলেন, তার কাছে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আমরা তার পদত্যাগ চাই।
এদিকে আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী হলে কোনো ধরনের রাজনীতি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসাথে তারা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বিল্লাল হোসেনের পদত্যাগ চেয়েছেন।
হলের শিক্ষার্থী আহনাফ মুজাহিদ বলেন, শিক্ষার্থীরা হলে আর কোনো ধরনের রাজনীতি চায় না। তাই তারা আজ শপথ নিয়েছে। একইসাথে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।