ঢাবির হল ক্যান্টিনে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বাকি ছাত্রলীগ নেতাদের

  • ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদদীন হলের ক্যান্টিনে ৪ মাসে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা বাকি খেয়েছেন ছাত্রলীগ শীর্ষ পদ প্রত্যাশী নেতারা। এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্যান্টিন মালিক নাসির উদ্দীন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) হল ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতাদের বাকির একটি তালিকা বার্তা২৪.কমের ঢাবি প্রতিনিধির হাতে আসে। সে তালিকা থেকে হিসাব করে দেখা যায় ৪ মাসে প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৩ শত টাকা বাকি খেয়েছেন ছাত্রলীগের ১১ জন নেতা। যার মধ্যে একজন হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ৬ জন শীর্ষ পদ প্রত্যাশী ছিলেন ।

বিজ্ঞাপন

তালিকায় দেখা যায় ৪ মাসে ১৫ হাজার টাকা বাকি খেয়েছে হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ প্রত্যাশী ও ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের অনুসারী আশিক মাহমুদ। এ তালিকার প্রথম নামই আশিকের। ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী তাফসির ৪ মাসে বাকি খেয়েছেন ১৩২০০ টাকা, রাশেদুজ্জামান রনি ৩ মাসে বাকি খেয়েছেন ১২ হাজার টাকা, অপু বাকি খেয়েছেন ১০ হাজার টাকা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের অনুসারী হেদায়েতুল ইসলাম বাকি খেয়েছেন ১৬ হাজার টাকা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইনানের অনুসারী কৌশিক বাকি খেয়েছেন ৪ হাজার টাকা, ছাত্রলীগ নেতা তুষার বাকি খেয়েছেন ১৬ হাজার ৮ শত টাকা, সাবেক সভাপতি ওয়ালীউল সুমন বাকি খেয়েছেন ৩ হাজার ৫ শত টাকা, আরিফ বাকি খেয়েছেন ৬ হাজার ৩ শত টাকা, আব্দুল্লাহ সোহাগ বাকি খেয়েছেন ১৩ হাজার ৫ শত টাকা, আহসানুল হক শিমুল বাকি খেয়েছেন ৩ হাজার টাকা।

এ হলের শিক্ষার্থীরা বলছে ছাত্রলীগের এমন বাকি খাওয়া ও চাঁদাবাজি করার কারণে ক্যান্টিন মালিক খাবারের দাম বাড়িয়েছেন এবং খাবারের মান খারাপ করেছেন। আর ফল ভোগ করেছি আমরা হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আমাদের টাকায় খেয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এই টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা অপু বলেন, আমি আসার আগে ৫ হাজার টাকা মত বাকি ছিলো, দিয়ে আসছি। আর কোনো টাকা আমার বাকি নেই। শুধু শুধু এই টাকার দায় দেওয়া হচ্ছে আমার উপর।

রাশেদুজ্জামান রনি বলেন, বাকি আছে তবে আমি সেটা দিয়ে দিবো। যে পরিস্থিতিতে আমরা বের হয়ে আসছি তখন টাকা দেওয়ার মত অবস্থা ছিলো না। আমি কথা বলে খুব তাড়াতাড়ি টাকা দিয়ে দিবো।