ইবির খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীদের স্থানান্তর

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হল থেকে ডরমিটরিতে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

হল থেকে ডরমিটরিতে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

নিয়মিত শর্টসার্কিট, রাতে হঠাৎ হঠাৎ বিদুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ইবির খালেদা জিয়া হল থেকে ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরির ‘কপোতাক্ষ’ ভবনে স্থানান্তর করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রশাসন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে খালেদা জিয়া হলের পুরাতন ব্লক থেকে জিনিসপত্র নিয়ে কপোতাক্ষ ভবনে স্থানান্তর হতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এদিন হলে উপস্থিত ৯৬ জন ছাত্রীকে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হওয়া কপোতাক্ষ ভবনে ছাত্রীদের স্থানান্তর উপলক্ষে চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানির লাইন সচল এবং অভ্যন্তরীণ ওয়াশরুম পরিষ্কার করে এস্টেট অফিস।

স্থানান্তরিত হওয়া ছাত্রীরা বলেন, আমাদের হলের বৈদ্যুতিক সমস্যা নতুন কিছু নয়। গত কয়েকদিনেও কয়েকবার শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। এর আগে কয়েকবার সংস্কার করা হলেও স্থায়ী সমাধান দেয়া হয়নি৷ গত তিনদিন আমরা পানি ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় হলে অবস্থান করেছি। আজকে প্রশাসন থেকে আমাদেরকে কপোতাক্ষ ভবনে শিফট করে।

বিজ্ঞাপন

তারা আরও বলেন, আমরা চাই হলের বৈদ্যুতিক সমস্যার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত এর সংস্কার করে আবার আমাদের হলে ফিরিয়ে নেয়া হোক। এখানে আমাদের সাময়িক যে কক্ষগুলোতে থাকতে দিচ্ছে তা তুলনামূলক ছোট এবং আমাদের কষ্ট করে থাকতে হবে।

এ বিষয়ে ইবির সহ-সমন্বয়ক রকিবুল ইসলাম বলেন, আজকে এখানে আমরা ৯৬ জন ছাত্রীকে স্থানান্তর করছি আমরা। এখানে আজকে হলে যে কয়জন ছাত্রী সশরীরে উপস্থিত ছিলো কেবল তাদেরকেই এখানে আনা হয়েছে। এর আগে ভবনটি অব্যবহৃত থাকায় এস্টেট অফিসের সহায়তায় পরিষ্কার করে পানি এ বিদ্যুৎ এর লাইন ঠিকঠাক করা হয়েছে। এখন ছাত্রীদের এখানে থাকার মতো একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কে.এম শরীফ উদ্দীন বলেন, খালেদা জিয়া হলের যে বৈদ্যুতিক সমস্যা রয়েছে তা নতুন প্রশাসন আসার আগে কিছু করা সম্ভব নয়। প্রশাসন আসলে অনুমোদন হয়ে টেন্ডার আসবে তারপর আমরা কাজে হাত দিতে পারবো। আমরা প্রাথমিকভাবে যে খসড়া করেছি তাতে আনুমানিক ৪৮ লক্ষ টাকার মতো প্রয়োজন হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, ডরমিটরি আগে থেকেই সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এই এলাকা পূর্ব থেকে নিরাপদ রয়েছে তবে এখন কপোতাক্ষ ভবনের জন্য আলাদা করে দু'জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। আশাকরি নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না।