সীমান্তে স্বর্ণা-জয়ন্ত হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন

  • রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সীমান্তে স্বর্ণ-জয়ন্ত হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন। ছবি- বার্তা২৪.কম

সীমান্তে স্বর্ণ-জয়ন্ত হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন। ছবি- বার্তা২৪.কম

বিএসএফের গুলিতে স্বর্ণা দাস ও শ্রী জয়ন্তকে নির্মমভাবে খুন এবং বাংলাদেশকে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ব্যানারে এই মানববন্ধন করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

এসময় তারা ‘দিল্লি না ঢাকা’, ‘আমার বুকে তিস্তার জল কাইড়া নিল কে’, ‘সীমান্তে লাশ কেনো, কসাই মুদি জবাব দে’, ‘ সীমান্তে মানুষ মরে, বিজিবি কি করে’ ‘ফেলানী থেকে স্বর্ণা দাস, সীমান্তে আর কত লাশ?’ ‘দিল্লির আগ্রাসন, জনগণ রুখে দাও’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী  স্লোগান দিতে থাকে।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া রাষ্ট বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তারেক ফজল বলেন, বিএসএফ কর্তৃক সিমান্তে স্বর্ণা, জয়েন্ত খুন এবং ভারতীয় প্রতিমন্ত্রী রাজনাথ সিং কর্তৃক বাংলাদেশকে জঘন্য ও বেআইনি হুমকির বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভারতীয় প্রতিমন্ত্রী রাজনাথ সিং কে আমরা বলতে চাই আপনি আপনার নিজের চর্কায় তেল দিন। আপনি নিজেই নিজ দেশকে বাঁচান। বাংলাদেশকে নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। একই সাথে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি একটা বুলেট ছোড়া হয় তাহলে আমরা ১০টা বুলেট ছুড়বো।

বিজ্ঞাপন

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, আমরা ব্যাক্তির সাথে ব্যাক্তির বন্ধুত্ব চাই না, আমরা দেশের দেশের বন্ধুত্ব চাই। বাংলাদেশ এখন আর ফ্যাসিবাদ সরকার অধীনে নেই। আজকে যে হত্যাকাণ্ড গুলো হচ্ছে তা পৃথিবীর আর কোথায় হয়না। এগুলা আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে। আমরা চাই ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে এর সুষ্ঠু বিচার করা হোক।

এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ভারতের চামচারা তাদের বন্ধুত্বের নমুনা দিচ্ছে। আমরা ভারতকে হাজার টন ইলিশ দিয়েছি, আর ওরা আমাদের আবরার, স্বর্ণা, জয়েন্ত, ফেলানীর মতো লাশ উপহার দিয়েছে। আমরা শেখ হাসিনা-মুদির মতো বন্ধুত্ব চাই না। বন্ধুত্ব করতে হবে দেশের সাথে দেশের। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে তারা প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়েছে। স্বর্ণা, ফেলানীর হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের না হওয়া পর্যন্ত আমরা ভারতের সাথে বন্ধুত্বের সিদ্ধান্ত নিব না এবং এতদিন যত হত্যা হয়েছে সবগুলো সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

এসময় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক- শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।