রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল দশটার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষগণের এক আলোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ছে। জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া আলোচনার অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো হলো- আবাসিক হলে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে আবাসিকতা প্রদান করা হবে। হলের পরিবেশ ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রাধ্যক্ষবৃন্দ নিজ নিজ হল সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে কর্তৃপক্ষ সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
শরৎকাল এখনো শেষ হয়নি। এ সময় শেষ রাতে হিম হিম ভাব থাকলেও উত্তরবঙ্গের চিত্র একটু ভিন্ন। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতিমতো কুয়াশার দেখা মিলছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। মধ্যরাত ও ভোরের দিকে ঠান্ডা লাগলেও বেলা বাড়লে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
আজ সকালে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন, স্বাধীনতা স্মারক, ক্যাফেটেরিয়া, প্রশাসনিক ভবন, মসজিদ ইত্যাদি রাতভর বৃষ্টির মতো টিপ টিপ করে ঝরতে থাকা কুয়াশায় ভিজে গেছে। গাছের পাতা আর ঘাসের ওপর থেকে ঝরছে শিশিরবিন্দু।
ক্যাম্পাসে দেখা মেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীর। তারা প্রায় ক্যাম্পাসে হাঁটতে আসেন। তাদের কয়েকজনের সাথে কথা বলেছেন বার্তা২৪.কমের বেরোবি প্রতিনিধি।
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের হেলাল মিয়া বলেন, মৃদু কুহেলিকা আর পাখির কিচিরমিচির শব্দ যেন জানান দেয় ঋতুর পরিবর্তন হচ্ছে।এটি বেশ দারুণ লাগে। মধ্যরাতে ও ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার দেখা মিলছে। এই আবহাওয়ায় সকালে হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালো লাগে।
জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের আনিকা তাসকিন বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে শীতের আগমন সবসময়ই একটি বিশেষ আবহ নিয়ে আসে। উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চল জুড়ে শীতের প্রভাব যথেষ্ট স্পষ্ট এবং গভীর। ক্যাম্পাসে হিমেল হাওয়া জানান দিতে শুরু করে শীতের আগমনকে। ছায়াময় সবুজ ক্যাম্পাস হিমের পরশে যেনো আরও মায়াময় হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদার মাঠগুলিতে সকালের কুয়াশা আচ্ছন্ন করে রাখে চারপাশকে। সকালবেলা কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কিরণ যখন ক্যাম্পাসের সবুজ গাছপালায় পড়ে, তখন একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের অবতারণা হয়।
তিনি আরও বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতের আগমন কেবলমাত্র একটি ঋতুর পরিবর্তন নয়, এটি একটি অনুভূতি যা শিক্ষার্থীদের মনের ভেতর ঋতুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার আনন্দের সাথে মিশে থাকে।
একজন দর্শনার্থী বলেন, সকালে বের হয়ে অন্যরকম মনে হয়েছে। চারদিকে সাদা কুয়াশা দেখে মনে হয়েছে শীতের দিন চলে এসেছে। শিশির ভেজা সকালে হাঁটাহাঁটি করতেও ভালো লাগে।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জানা যায়, গত ১১ জুলাই আবু সাঈদ নিহত হওয়ার আগে ক্যাম্পাস থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মিছিল নিয়ে বের হতে চাইলে ছাত্রলীগ বাধা দেয়। এক পর্যায়ের চর থাপ্পড় দেন আবু সাঈদকে। ওইদিন আবু সাঈদকে গলা টিপে ধরার ঘটনাও ঘটে। এই ট্রমা নিয়েই পরের দিন (১২ জুলাই) পরীক্ষা দেন আবু সাঈদ।
আবু সাঈদের সাথে আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন বলেন, ১১ তারিখ ক্যাম্পাসে মিছিল করার পর ১২ তারিখ ছিলো আবু সাঈদ ভাইয়ের নিবন্ধন লিখিত পরিক্ষা। আমরা ওই দিন সকালে মিটিং করবো তো আবু সাঈদ ভাই বলতেছিলেন আমার জীবনের এইটা প্রথম পরীক্ষা। পরীক্ষা দিবো কিনা? কিছুই পড়িনি আন্দোলনের কারণে। বললাম ভাই পরীক্ষা দিয়ে আসেন আমরা বিকেলে মিটিং করবো। আগের দিনে ১১ তারিখ ছাত্রলীগের চর থাপ্পড় মার খাওয়ার স্ট্রেস নিয়ে ১২ তারিখ পরিক্ষা দিতে যায় সাঈদ ভাই। আজ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু আবু সাঈদ ভাই নাই। আমরা শুধু বীর সাঈদ ভাইকেই হারাইনি, হারিয়েছি মেধাবী শিক্ষার্থীকে।
ইংরেজি বিভাগের সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আবু সাঈদ পড়াশোনায় মনোযোগী ছিল। ওর (আবু সাঈদ) টার্গেট ছিল জীবনে ভালো কিছু করার কিন্তু অধিকার আদায় করতে গিয়ে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছে। আজ বেঁচে থাকলে হয়তো বা ভালো কিছু করত।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর ব্যবস্থাপনায় অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২০২৩-এর স্কুল (নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/দাখিল ও তদুর্ধ্ব পর্যায়ের মাদরাসা) ও স্কুল-২ (মাধ্যমিক কারিগরি ও ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট, উচ্চ মাধ্যমিক কারিগরি ও ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট এবং কারিগরি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট) পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা ১২ জুলাই ২০২৪ এবং কলেজ (কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিকোত্তর/উচ্চ মাধ্যমিক কারিগরি/ভোকেশনাল/ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/ইন্সটিটিউট এবং আলিম ও তদুর্ধ্ব পর্যায়ের মাদরাসা) পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮০ জন। এর মধ্যে স্কুল ও সমপর্যায়ের ৫৫ হাজার ৮৯০ জন, স্কুল-২ পর্যায়ের ৫ হাজার ৩২৩ জন এবং কলেজ ও সমপর্যায়ের ২২ হাজার ৬৫২ জনসহ সর্বমোট ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সম্পর্কে আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান সম্পর্কে আইনজীবী জেড আই খান পান্নার অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। জেড আই খান পান্না ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতীত ইতিহাস’ জানার দাবি করে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নির্জলা ও সর্বৈব অসত্য, বিদ্বেষপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
প্রকৃতপক্ষে, উপাচার্য জীবনের কোন পর্যায়ে কোন ধরনের রাজনৈতিক দলীয় সংগঠনের সঙ্গে কখনও সম্পৃক্ত ছিলেন না উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভবিষ্যতেও তার কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ নেই। ইতোপূর্বে সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত একাধিক বক্তব্যে উপাচার্য তার এ অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন পুরো সময় তিনি অনাবাসিক ছাত্র ছিলেন। আইনজীবী পান্না কিংবা তার বর্ণিত কথিত ঘটনার সঙ্গে উপাচার্যের কোন দূরতম সম্পর্কও নেই। তার এ ধরনের বক্তব্য উপাচার্যের সম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।
এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপাচার্য সম্পর্কে প্রদত্ত অসত্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যকে ঘিরে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে চূড়ান্ত ভর্তি শেষে ৭৭টি আসন ফাঁকা রয়েছে। আগামী ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ভর্তির টেকনিক্যাল কমিটি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তথ্যমতে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ছয়টি অনুষদের অধীন ২৫টি বিভাগে মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ৫৭০। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে ক ইউনিট তথা বিজ্ঞান বিভাগে ৩৭ টি, খ ইউনিট তথা মানবিক শাখায় ২০ টি এবং গ ইউনিটে ২০ টি আসন ফাঁকা আছে।
উল্লেখ্য, এবছর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলো মোট ১৬ হাজার ৪০৯ জন শিক্ষার্থী।