দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবিতে মানববন্ধন
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের দীর্ঘ দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো নতুন উপাচার্য পায়নি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। দীর্ঘদিন যাবত চলমান একাডেমিক স্থবিরতা দূরীকরণ এবং একজন যোগ্য, দুর্নীতিমুক্ত, সংস্কারমনা, শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, তানভীর মন্ডল, ইয়াসিরুল কবিরসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে সংস্কারমনা ভিসি চাই; সেশনজট নিরসন চাই; বিশ্বমানের ভিসি চাই, শিক্ষার্থীবান্ধব ভিসি চাই; সৎ ও সাহসী ভিসি চাই, ক্লাস চাই পরীক্ষা চাই, অবিলম্বে ভিসি চাই; রেকর্ড দেখে ভিসি দিন, দূর্নীতির খবর নিন; ইবির আঙিনায়, দূর্নীতিবাজের ঠাই নাই লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
সহ-সমন্বয়ক সায়েম আহমেদ বলেন, ছাত্রসমাজের আন্দোলনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল সমস্ত বৈষম্য দূর করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জ্ঞানমুখী করা। কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি গত ১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানবিমুখ করার ক্ষেত্রে ভুমিকা পালন করেছে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির অংশের ভিসিরা। দুর্নীতিকে তারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন। স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে সবার আগে শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠন করতে হবে। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। একজন আদর্শবান ব্যক্তিকে আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে চাই।
সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনে তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন অবস্থা করেছে যে প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে চলে গেছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে অনেকেই পদোন্নতি পাননি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা যদি উন্নত করা যায়, শিক্ষা ব্যবস্থা যদি উন্নত করা যায় তাহলে একটা দেশ গড়া খুবই সহজ। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কে ইউজিসির বাইরে নিয়ে এসে স্বায়ত্তশাসিত হিসেবে পরিচালিত করা যায় কিনা সেটা বিবেচনা করার দাবি জানাই।
ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা এখানে যেভাবে দাঁড়িয়েছি তা ছাত্রজনতার আন্দোলনের ফসল। গত ১৫ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের রূপান্তরিত করা হয়েছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বলার কোন জায়গা ছিল না, অধিকার আদায়ের কোন উপায় ছিল না। দেড় মাস আগে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ভিসি পাইনি। কোন দুর্নীতিবাজ যদি আবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয় তাহলে এরচেয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর হতে পারে না। একজন সৎ, যোগ্য ও দুর্নীতিমুক্ত উপাচার্যের মাধ্যমে আমরা ইবির যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাই।