চৌদ্দগ্রামে পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা

  • বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় মোরগ-মুরগি সরবরাহ এবং বিনামূল্যে গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রায় ৭০টি পরিবারকে চারটি করে মুরগি এবং একটি করে মোরগ সরবরাহ এবং নয় সদস্যের বাকৃবির একটি ভেটেরিনারিয়ান দল গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, নয় সদস্যের দলে ছয় জন রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান এবং তিন জন ভেটেরিনারি অনুষদের স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থী রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভেটেরিনারিয়ান ও বাকৃবির স্নাতকোত্তর পড়ুয়া শিক্ষার্থী ডা. মাশশারাত মালিহা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাকৃবির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও তাদের সন্তানদের অনুদানের অর্থ দিয়ে আমরা এই কার্যক্রম পরিচালনা করছি। পর্যাপ্ত অর্থায়ন পেলে ভবিষ্যতে আমরা এই কার্যক্রম বর্ধিত করবো।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিকট আমাদের বার্তা হচ্ছে, ভবিষ্যতে মানুষের পাশাপাশি প্রাণীদের জন্যও আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করতে হবে, যোগ করেন ডা. মালিহা।

বাকৃবির স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থী সুজাউদ্দৌলা সৈকত বলেন, কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে আমরা গবাদিপশুর জন্য চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করেছি। গবাদিপশুর জন্য আমরা অ্যানথ্রাক্স ও ব্ল্যাক কোয়ার্টার রোগের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি এবং পাশাপাশি ডায়রিয়া ও পরজীবিঘটিত রোগের চিকিৎসা ও প্রদান করে যাচ্ছি।

আরেক ভেটেরিনারিয়ান ডা. মো. উমর ফারুক বলেন, খামারিদের মোরগ মুরগি সরবরাহ করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো যেনো এখান থেকে পরবর্তীতে বড় করে মুরগির খামার গড়ে তুলতে পারে এবং ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারে। এছাড়া আমাদের বিনামূল্যে গবাদিপশুর চিকিৎসা কার্যক্রমও তাদের পুর্নবাসনে সাহায্য করবে বলে আশা করি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ লাভলু মিয়া।

জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, বন্যাকবলিতদের পুনর্বাসনে শিক্ষার্থীরা মহৎ একটি উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা মোরগ এবং মুরগি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে হস্তান্তর করেছি এবং একটি উৎসবমুখর পরিবেশ ছিলো। আশা করি সকল মানুষ এই মহৎ কাজে যুক্ত হবেন এবং সামর্থ্য অনুযায়ী বাছুর, মুরগির বাচ্চা, নগদ অর্থ দিয়ে বন্যাকবলিত খামারিদের পুনর্বাসনে সহায়তা করবেন।