ইবিতে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মহাসড়ক 'ব্লকেড' অব্যাহত

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

সরকার পতনের পর এখনো উপাচার্য না পাওয়ায় উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর আগে উপাচার্য নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে এবং গতকাল সকালেও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইবি শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে ক্যাম্পাসের ঐতিহাসিক বটতলার প্রাঙ্গনে সমবেত হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসন ভবন, প্রতিটি আবাসিক হল, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে যেয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে 'সংস্কারমনা ভিসি চাই; বিশ্বমানের ভিসি চাই, শিক্ষার্থীবান্ধব ভিসি চাই; সৎ ও সাহসী ভিসি চাই; ক্লাস চাই পরীক্ষা চাই, অবিলম্বে ভিসি চাই; ক্লিন ইমেজের ভিসি চাই' লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন দেখা যায়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবীর, নাহিদ হাসান, তানভীর মন্ডল, সায়েম আহমেদ সহ কয়েকশ' শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের আজ রাস্তায় আন্দোলনে না থেকে পড়ার টেবিলে থাকার কথা। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ হয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালু হলেও ইবি এখনো পিছিয়ে রয়েছে। আমরা বারংবার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ভিসি না থাকায় আমাদের সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করা যাচ্ছে না। অতিসত্বর ভিসি দেওয়া না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচীতে যাবো।

ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও কোন এক অজানা কারণে আমাদের ভিসি দেওয়া হচ্ছে না। আমরা অতি দ্রুত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সৎ যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের ভিসি চাই। যদি অতীতের মধ্যে কোন দুর্নীতিবাজ কে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা তাকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেবে না। আমাদের আল্টিমেটামের আজকে শেষ দিন। আমরা আজকের দিনটা দেখে আজকের মধ্যে ভিসি না দিলে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে চাই।

প্রসঙ্গত, ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পরে ৮ আগস্ট একযোগে পদত্যাগ করেন ইবির ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ হলেও ইবিতে না হওয়ায় ভিসি নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।