ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটার বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসনের স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত না আসার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লাল কার্ড দেখিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় সোমবার মুক্তমঞ্চে বিতর্কে বসার জন্য প্রশাসনকে চিঠি দিবেন বলে জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।
কর্মসূচিত শিক্ষার্থীরা 'ওয়ার্ড কোটা ওয়ার্ড কোটা, রেড কার্ড রেড কার্ড', 'ছাত্রসমাজের অ্যাকশান, ডাইরেক্ট অ্যাকশান', 'কোটা না মেধা, মেধা মেধা' 'সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে ', 'জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে', 'জোহা স্যারের স্মরণে, ভয় করিনা মরনে', 'আপোষ না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব', সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এসময় লোকপ্রশাসন বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী নওশীন তাবাসসুম বলেন, এই পোষ্য কোটা আমরা চাই না। অনেকেই ১ হাজারের বেশি মেরিট পেয়েও ভালো সাবজেক্টে আমাদের সাথে পড়তেছে। কিন্তু ১ হাজারের কম মেরিট পেয়েও অনেকে সাবজেক্ট পায় না। এমনকি ৬-৭ হাজার মেরিট থেকেও অনেক ভালো ভালো সাবজেক্ট পাচ্ছে। এই জন্য আমরা এই কোটাকে রেড অ্যালার্ট দেখাচ্ছি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবির অন্যতম সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, আমরা আগামীকাল (সোমবার) তাদের সাথে বিতর্কে বসতে চাই। তার জন্য আজকে আমাদের পক্ষ থেকে একটা চিঠি দিব। তারা যদি বিতর্কে না যেতে চায়, তাহলে অবশ্যই এটা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অক্ষমতা। আর তারা যদি ওপেন বিতর্ক জয় লাভ করে বা, তাদের যুক্তি উপস্থাপন করতে পারে, তাহলে আমরা এই আন্দোলন থেকে সরে যাব। কিন্তু তারা যদি সেখানে না আসে, তাহলে আমরা কঠিন থেকে কঠিন আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, পোষ্য কোটা আমাদের জন্য লজ্জার। এই কোটার কারণে ফেল করেও অনেকে ভর্তি হচ্ছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।