পরীক্ষা কমিটি থেকে অধ্যাপকের অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আমির হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্থা, বডি শেমিং, সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষার্থীদের নজরদারি, নাম্বার দেয়ার ক্ষেত্রে লিঙ্গ ভেদে বৈষম্যসহ নানা অভিযোগ এনে তাকে স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা কমিটি থেকে অপসারণসহ ৬ দফা দাবিতে বিভাগের অফিস ও ক্লাসরুমে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করেছে বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৯ সেপেম্বর) সকাল ৮টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা৷ পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভাগীয় শিক্ষকবৃন্দ এসে এঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো হলো-  

২০২১-২২ স্নাতকোত্তর শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা কমিটি থেকে অধ্যাপক আমির হোসেন ভূইয়াকে অপসারণ করা; এই শিক্ষাবর্ষের কোর্সের দায়িত্ব থেকে তাকে অপসারণ করে অন্য দায়িত্বশীল ও যোগ্য শিক্ষককে নিযুক্ত করা; তাকে কোনো কোর্সের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় পরীক্ষক হিসেবে রাখা হবেনা, তা নিশ্চিত করা; ভবিষ্যতে যাতে এই ডিপার্টমেন্টে কোনো ব্যাচ বা শিক্ষার্থী যেন এ ধরনের ঘটনাগুলোর সম্মুখীন না হয়, সে জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা; অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুনরায় ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে যেন পরীক্ষার ফলাফলে কোন প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করা এবং উল্লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপক ড. আমির হোসেন ভূঁইয়াকে সকল ধরণের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি পূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।

এসময় শিক্ষার্থীরা জানায়, অধ্যাপক আমির হোসেন ভূঁইয়া বিভিন্ন সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্থা ও বডি শেমিং করেন। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ক্লাসে কথা বলেন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কি করছে এসব বিষয়ে নজরদারি করে ক্লাসে আলোচনা করেন। প্রেজেন্টেশনের সময় ছেলেদের যথাযথ অগ্রাধিকার না দেয়াসহ নাম্বার দেয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবো। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে৷ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো৷

এরপরই শিক্ষার্থীদের আনিত অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ অফিস আদেশে গঠিত কমিটিকে আগামী ১৫ (পনের) কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রদানের অনুরোধ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়৷

অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী কর্তৃক হয়রানি ও নিগ্রহের অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা নিরূপণের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ধারা ৫ এর (ক) (১) অনুযায়ী একটি প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।