তিস্তা নদীতে বাঁধ দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: জবি শিক্ষক

  • জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

তিস্তা নদীতে গজলডোবা বাঁধ নির্মাণ করে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহয়োগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান মেজবাহ উল আজম সওদাগর।

সোমবার (৩০ই সেপ্টেম্বর) ভারতের সাথে বাংলাদেশের সকল আন্তজার্তিক নদীর ন্যায্য হিস্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গজলডোবা বাঁধ খুলে রংপুর বিভাগে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লালমনিরহাট ছাত্রকল্যাণ কর্তৃক আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এসময় তিনি আরও বলেন, ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে এই বন্যার সৃষ্টি করেছে। শুষ্ক মৌসুমে আমাদের যখন পানি প্রয়োজন তখন তারা বাঁধ বন্ধ করে পানির কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যার ফলে চাষাবাদ ব্যাহত হয়। আবার যখন বর্ষাকাল আসে তারা বাঁধ খুলে দিয়ে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি করে। তারা যখন ইচ্ছে বাঁধ খুলে যখন ইচ্ছে বন্ধ করে। তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী আর এই নদীতে কোনো দেশের একক আধিপত্য কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের কাছে অনুরোধ দ্রুত সময়ের মধ্যে তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে এই সংকট নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করুন।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জিহাদ হোসেন বলেন, বর্তমান সময়ে আমরা উত্তরবঙ্গে যে বন্যা দেখতে পাচ্ছি এটা মূলত কোনো প্রাকৃতিক বন্যা নয় এটা ভারতসৃষ্ট কৃত্রিম বন্যা। ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে এই বন্যার সৃষ্টি করেছে। আমরা ভারতের সাথে আপোষ করবো না। আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা আমাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মো. ইউনূস আলি বলেন, উত্তরবঙ্গের রংপুর বিভাগ সবদিক থেকে বৈষম্যের স্বীকার হয়। এর আগে আমরা দেখেছি দক্ষিণবঙ্গে বন্যায় সারাদেশের মানুষ এবং সরকার সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে তবে আমাদের বেলায় সেটা নেই বললেই চলে এমনকি মিডিয়া কভারেজ ও পাচ্ছে না যে আমাদের জেলাগুলোতে পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা চাইনা আমরা এই আকস্মিক বন্যা থেকে মুক্তি চাই। এক্ষেত্রে সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারতের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানে কাজ করা।