পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহত, প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

  • জাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

ঢাকা জেলার আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর করা গুলিতে ১ পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়৷ এরই প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে৷ এ সময় সড়কের উভয় লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিষেবার যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধ শুরু করে দুপুর ২টায় এ কর্মসূচি শেষ করে শিক্ষার্থীরা৷

বিজ্ঞাপন

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধকালে শিক্ষার্থীদের- শ্রমিক হত্যা কেন, ড. ইউনুস জবাব চাই; রাস্তায় শ্রমিক মরে, ইউনূস কি করে; পোষাক শ্রমিক রাস্তায় মরে, ইউনূস কি করে; ছাত্র-শ্রমিক জনতা, গড়ে তোলো একতা; জ্বালো রে জ্বালো, হত্যাকারীর গদিতে আগুন জ্বালো ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গুলিতে কোনো সাধারণ শ্রমিকের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সাবেক স্বৈরাচারী সরকার পতনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা করা হয়েছে, শ্রমিকরাও সেটির অংশীদার। শ্রমিকরাও এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে আন্দোলনে শক্তি যুগিয়েছিল৷

অবরোধ কর্মসূচিতে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শরন এহসান বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পুলিশ যখন হামলা করে তখন এই শ্রমিকেরা ছাত্রদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল। আজ যখন তারা তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে, সেনাবাহিনী তাদের অন্যায়ভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

এসময় ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি বলেন, ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের যতখানি অংশগ্রহণ ছিল শ্রমিকদের ঠিক ততোখানি। কখনো কখনো শ্রমিকরা অগ্রভাগে ছিলেন এবং জীবন দিয়েছেন৷ কাজেই সেই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন সরকারের হাতে, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকরা খুন হচ্ছে সেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষোভের। আমরা কড়া হুঁশিয়ারি দিতে চাই, সরকার যদি ভাবে শ্রমিকদের দমিয়ে রাখবে তাহলে দরকার হলে ছাত্ররা শ্রমিকদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে এবং তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে পাশে থাকবে৷

প্রসঙ্গত৷ গতকাল আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে কাউসার নামের এক শ্রমিক নিহত এবং অন্তত ৫ জন আহত হন৷