বাইরের কাউকে উপাচার্য মানবেন না সিভাসুর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
ক্যম্পাসের বাহিরে কাউকে উপাচার্য নিয়োগ না দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা মানববন্ধন ও মিছিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে ক্যম্পাসের শহিদ মিনার থেকে আন্দোলন শুরু করেন তারা। পরে পুরো ক্যম্পাস ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্যম্পাসের শহিদ মিনারে ফিরে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করা হয়।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র ছাত্রীরা বলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে প্রাণী চিকিৎসা থেকে শুরু করে প্রাণী ডাক্তার, খাদ্য বিজ্ঞানী ইত্যাদি তৈরির পাশাপাশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের উন্নয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভুমিকা পালন করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে একবার বাইরের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল যার আমলে কোন সামগ্রিক উন্নয়ন হয়নি এবং সবকিছুর মান নিন্মমুখি হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, ছাত্রছাত্রীদের অধিকার এবং অত্র অঞ্চলের কৃষকদের সার্বিক বিষয় বোঝা সিভাসুর একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ছাড়া আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই সিভাসুর বাইরের কোনো উপাচার্য মেনে নেওয়া হবে না, যদি বাইরের কোনো উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে ক্যাম্পের সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাদের নিয়ে দূর্বার আন্দোলন করা হবে।
শিক্ষার্থীদের একজন জসিম উদ্দিন বলেন, সিভাসুতে শত যোগ্য এবং অভিজ্ঞ শিক্ষক থাকার পরও বাহিরের কাউকে উপাচার্য নিয়োগ এই বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকদের সঙ্গে চরম বৈষম্য হবে। এমন কোনো বৈষম্যের জন্য ছাত্র জনতা ২০২৪ সালে রক্ত দেননি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ৩০ বছর এবং ইতিপূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের দুইজন ছাত্র দেশের দুইটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ্যতাকে অনেকাংশে প্রমাণ করেছে। তাই আমরা চাই অতিসত্তর সিভাসু থেকে একজন অভিজ্ঞ ও যোগ্য অধ্যাপককে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে ক্যাম্পাসের শিক্ষা, গবেষণা ও এস্টেনশন কার্যক্রম দ্রুত চালু করার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে পরবর্তীতে আরো কঠিন আন্দোলনে যেতে আমরা বাধ্য হবো।