চবি রাজনীতি বিজ্ঞানে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে নবীণ শিক্ষার্থী বরণ

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ছুটির পর আনন্দঘন-সৌহার্দ্যপূর্ণ আবহে শিক্ষার্থীদের কোলাহলে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস। নতুন প্রশাসনের তড়িৎ উদ্যোগে ক্লাস শুরুর প্রথম দিন রোববার (৬ অক্টোবর) ঐতিহ্যবাহী রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশান প্রোগ্রামের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়।

চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনসহ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে শুরুতে ছাত্রগণআন্দোলনে নিহতদের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন মিঝি।

প্রভাষক তাহমিদা খানমের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওরিয়েন্টেশান অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ. জি. এম নিয়াজ উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. ভূঁইয়া মো. মনোয়ার কবীর, অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম, ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যাহ পাটওয়ারী প্রমুখ।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, রাজনীতি বিজ্ঞান একটি ঐতিহ্যবাহী বিভাগ, আমি যার প্রাক্তন শিক্ষার্থী৷ এই বিভাগে ঐতিহ্য আমাদের ধরে রাখতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ছাত্রছাত্রী হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণভোমরা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আজ সচল হওয়ায় সে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে একাডেমিক এক্সিলেন্স নিশ্চিত করা৷ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমনভাবে সাজাতে চাই যাতে মানুষ দেখতে আসতে চাইবে। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে হার্ভার্ড, এমআইটি করতে না পারলেও দেশের মধ্যে অনুসরণীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করবো।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ বলেন, শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। সেজন্য তাদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পঠন-পাঠনের পাশাপাশি তাদেরকে আত্মউন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় হলো তাদের বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্র। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে সবাইকে মিলেমিশে উন্নত জীবনে লক্ষ্যে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়াই প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রধান কর্তব্য।

অনুষ্ঠানে পুষ্পিত শুভেচ্ছায় শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়।