শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণভোমরা: চবি উপাচার্য

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণভোমরা: চবি উপাচার্য/ নাফিজ মিনহাজ

শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণভোমরা: চবি উপাচার্য/ নাফিজ মিনহাজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেছেন, শিক্ষার্থীরা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণভোমরা। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় বিশ্ববিদ্যালয় সচল হওয়ায় ক্যাম্পাস প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

তিনি বলেন, একাডেমিক এক্সিলেন্স নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে মানুষ আগ্রহ নিয়ে এই অনিন্দ্য সুন্দর ক্যাম্পাস দেখতে আসে। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের অনুকরণীয় উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে রূপান্তরিত করবো।

বিজ্ঞাপন

দীর্ঘ বন্ধের পর চবি ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু ও ওরিয়েন্টেশান প্রোগ্রামে যোগ দিতে এসে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এ কথা বলেন চবি উপাচার্য ও বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।

রোববার (৬ অক্টোবর) বিভাগের চেয়ারম্যান, বার্তা২৪.কম'র অ্যাসোসিয়েট এডিটর ও চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টেশান প্রোগ্রামে আরও অংশ নেন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন৷ বিভাগের প্রভাষক তাহমিদা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক, অতীশ দীপংকর হলের প্রভোস্ট ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ. জি. এম নিয়াজ উদ্দিন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বিভাগের অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যাহ পাটোয়ারী বলেন, আজকে তোমরা মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছো। যেখানে এর আগে অনেকেই আসতে পারে নি। অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর মাধ্যমে আমরা এই দেশ পেয়েছি। সেজন্য তোমাদের দায়িত্ব অনেক। একজন সুষম ও সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়ার দায়িত্ব তোমাদের। সেই প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনের জন্য তোমরা পরিশ্রম করবে।

অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম বলেন, আমি পলিটিক্যাল সাইন্সের অনেক রথী-মহারথীকে দেখেছি। অনেক জ্ঞানী মানুষ দেখেছি। তবে বিনয়ী মানুষ হওয়া কঠিন, ভালো মানুষ হওয়া কঠিন। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, ভালো মানুষ হও। রেজাল্ট গুরুত্বপূর্ণ তবে বিষয়বস্তু বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমেই জানার আগ্রহ তৈরি হয়। কারণ, নলেজ নিজেই একটা লক্ষ্য।

বিভাগের বরিষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ড. ভূঁইয়া মো. মনোয়ার কবীর বলেন, রাজনীতি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে অবশ্যই আমাদের রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে। কেন আমরা রাজনীতি করবো না? অবশ্যই শিক্ষার্থীরা রাজনীতি করবে। তবে অবশ্যই আমরা অপরাজনীতিকে পছন্দ করবো না। এছাড়াও তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন গড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, রাজনীতি বিজ্ঞান একটি ঐতিহ্যবাহী বিভাগ৷ এই বিভাগে অনেক গুণী শিক্ষক দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। সে ঐতিহ্য আমাদের ধরে রাখে হবে৷ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসকল নিয়মকানুন আছে তা সবাইকে মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক এক্সিলেন্স বৃদ্ধির জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ বলেন, শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। সেজন্য তাদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পঠন-পাঠনের পাশাপাশি দেশ বিনির্মানের কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে তাদেরকে। সবাই মিলে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে যোগ্য, দক্ষ ও সেরা মানব সম্পদ রূপে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন, বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, ড. আনোয়ার হোসেন মিঝি, সহযোগী,অধ্যাপক তাসলিমা আক্তার এবং সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসহাক ও উম্মে হাবিবা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল কাইয়ুম, সহযোগী অধ্যাপক আককাছ আহমদ ও ড. হাসিনা আফরোজ শান্তা, সহকারী অধ্যাপক মো: সেলিমুল হক ও শারমিলা কবির সীমা এবং প্রভাষক ইসমত আরা, মো: এরশাদুল হক, সাফিনাজ মাহমুদ ও শেখ আমিনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন মিঝি।