ইবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি

ইবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেইটে অবস্থান নেন তারা। এসময় প্রায় এক ঘণ্টা ফটক আটকে রাখেন তারা।

বিজ্ঞাপন

পরে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাতের শর্তে প্রধান ফটক ছেড়ে দেন তারা। পরে উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া শুনেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

এসময় বিভাগের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসেন বলেন, স্যার ক্লাসে এসে কী বা কী বলে অপমান করবে সেই ভয় সবসময় থাকে আমাদের। আমি কী ড্রেস পরলাম, কোথায় গেলাম, কার সাথে ঘুরলাম, কোন বাসে ঢাকা গেলাম সেসব কৈফিয়ত দিতে হয় আমাকে। আমাকে সবার সামনে বলছে, যে আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটাবে। যে স্যারের গুণগান গায় সে ইন্টার্নাল মার্কে পায় ২৭, আমি পাই ১৭। আমি বৃষ্টিতে ভিজে চা খাইলে, তিনি বলেন- আমি নাকি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছি৷ তিনি একজন শিক্ষক হয়ে সবার সামনে মেয়েদের গালি দেয়। আমি হাফিজের পদত্যাগ চাই, তিনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।

অপর শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান বলেন, বাপ মা তুলে গালি দেওয়া স্যারের আগের অভ্যাস। যারা নাচ করি তাদের নর্তকী, বাকিদের বাজারের মেয়ে এগুলো বলেছে। আমাদের সামনে আমাদের ফ্রেন্ডদের বলেছে, এসব কাস্টমার ধরার ধান্দা৷ আমি আবার বন্ধুর সাথে কোথায় বসব না বসব, সেসব নিয়ে সে কুরুচিপূর্ণ কথা শুনিয়েছেন। সে আমাকে হেনস্তা করার জন্য ১০০ পেজের অ্যাসাইনমেন্ট করিয়েছে, অথচ জমা নেয়নি। তার জঘন্য অপমানের ভাষা বলে শেষ হবে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি শুনে উপাচার্যের সাথে কথা বলেছি এবং তাদেরকে উপাচার্যের সামনে দাবি উত্থাপনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স রুমে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া শুনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের থেকে তাদের সমস্যার কথা শুনেছি। এবিষয়ে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটির মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।