ইবি শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ, কুশপুত্তলিকা দাহ

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমকামিতাসহ নানা অভিযোগ এনে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে ক্যাম্পাসের মীর মোশাররফ ভবনের সামনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে কুশপুত্তলিকা টাঙিয়ে জুতা নিক্ষেপ এবং পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, তদন্ত কমিটির সাক্ষাৎকারের জন্য হাফিজের ক্যাম্পাসে আসার কথা ছিল সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করি। তাঁর কুশপুত্তলিকা জ্বালানো হয় মেইন গেটে। তাকে যদি আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা না হয়, তাহলে এই আন্দোলন চলমান থাকবে। আমাদের দাবি-ন্যায়বিচার দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়বিচার দেয়া হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ পরিবার তাকে এই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে এবং তাকে বয়কট করা হয়েছে। আমরা আশা করছি তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার কথা উঠে আসবে।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হেনস্তা, আপত্তিকর মন্তব্য, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ ২৭ দফা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা উপাচার্যের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করলে ইবি উপাচার্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়।

বিজ্ঞাপন

ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের করা অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লখযোগ্য হলো: শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, কথার অবাধ্য হলে ইন্টারনাল মার্কস কম দেওয়া, মেয়েদেরকে শ্রেণিকক্ষে সবার সামনে জামা কাপড় নিয়ে কথা বলা, নর্তকী, পতিতা, বাজারের মেয়ে, বলে গালিগালাজ, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ক্লাসে কিংবা সবার সামনে হেনস্থা, শিক্ষার্থীদের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারার ও ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা, ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা, ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য রেজাল্ট খারাপ করে দেওয়া, অন্যান্য শিক্ষকদের নাম নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে অপমান, অপদস্থ এবং চাপ দেওয়া ইত্যাদি।

বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক এ এইচ এম নাহিদ বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমি বিব্রত। যেহেতু তদন্তাধীন বিষয় এবং কমিটি আমাকেও ডাকা হয়েছিল, আমি আর মন্তব্য করছি না।

এসম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফ জানান, শিক্ষার্থীরা ১২ টার দিকে আন্দোলন শুরু করে মীর মোশাররফ ভবনের নীচে আসলে আমি জানতে পারি। তারা কুশপুত্তলিকাও নাকি পুড়ায়ছে শুনলাম। গতকাল শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। আমাদের প্রসেসিং শেষের দিকে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে।