জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত রিকশা চালককে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে একটি বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় রাচির সহপাঠী ও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম খুনিকে আটক করার জন্য কিন্তু আমরা কোন ধরনের অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছিনা। আমরা আজকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
কতক্ষণ পর্যন্ত তালাবদ্ধ থাকবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপাচার্য স্যার সহ মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাদের অবহিত করবেন মামালার অগ্রগতি সম্পর্কে সেই সাথে কতদিনের মধ্যে তারা অপরাধীকে গ্রেফতারে সক্ষম হবেন এমন সময়সীমা দিবেন। তারপর আমরা অবরোধ থামাবো।
এসময় মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন বলেন, আমাদের বোনকে হত্যা করা হয়েছে। ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি এমনকি শনাক্ত করা হয়নি। আমরা আমাদের ব্যাচের পক্ষ থেকে সকল ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছি। খুনিকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরে যাব না।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সৌন্দর্য বর্ধনকারী সতত ফোয়ারা শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। তবে দীর্ঘদিন ধরে সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়ে আছে স্থাপনাটি। নষ্ট বাতি, জঙধরা পানি সঞ্চালন লাইন, ভেঙে যাওয়া মেঝের টাইলস, পিলার ভাঙ্গা বেষ্টনী, ফোয়ারার দেওয়াল জুড়ে শেওলা ও মধ্যস্তম্ভের প্লেটে জমে থাকা পুরনো পানি সব মিলিয়ে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে ক্যাম্পাসের অন্যতম আকর্ষণীয় এই স্থানটি।
জানা যায়, ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখের বামপাশে শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধের মধ্যবর্তী স্থানে ২০১৮ সালের ৭ই জানুয়ারি এই দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারাটির উদ্বোধন করা হয়। চতুর্থ সমাবর্তন উপলক্ষে তৎকালীন আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ‘সততা ফোয়ারা’র উদ্বোধন করেন। দৃষ্টিনন্দন এই ফোয়ারার নকশা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও এএনএইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাদ্দেস হানিফ টলিন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যৌথ অর্থায়নে এটি নির্মাণ করা হয়।
অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিষয়ক অন্যতম এই নিদর্শনটি তার লাল নীল রঙের আলোয় ফোয়ারার প্রবাহিত পানির নান্দনিক রূপে মুগ্ধ করতো শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীদের। তবে সময়ের পরিক্রমায় ও নানা অব্যবস্থাপনার কারণে বর্ণিল এই স্থানটি আজ নিজেই বিবর্ণ। এই নিয়ে ক্ষোভের শেষ নেই এখানকার শিক্ষার্থীদের। ফোয়ারা দ্রুত সংস্কার ও চালুর দাবিতে গতবছরের এপ্রিল মাসে মানববন্ধনও করেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় বছর তিনেক ধরে বন্ধ অবস্থায় পরে আছে ফোয়ারাটি। আগে যদিও বিশেষ দিবসগুলোতে টুকটাক সংস্কার করে চালানো হতো, শিক্ষার্থীরা বিশেষ দিবসে উপভোগ করতো ফোয়ারার সৌন্দর্য তবে তা এখন শুধুমাত্র অতীতের বর্ণিল ইতিহাস ও বর্তমানের মরিচাধরা বাস্তবতা। তবে মাঝে একবার ইইই বিভাগের অ্যালামনাই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কিছু সময়ের জন্য চালানো হয় উপভোগ্য পানির ফোয়ারা।
সরজমিনে দেখা যায়, সততা ফোয়ারার ভেতরে ব্যবহৃত লাল নীল বাতিগুলো অধিকাংশই অকেজো অবস্থায়। এছাড়াও সেখানে থাকা পানি সঞ্চালন লাইন গুলো মরিচাপড়া, খানিকটা ভাঙা মেঝে ও বেষ্টনীর এক ভাঙ্গা পিলার যেন জানান দিচ্ছে বহুকাল সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি এই আঙ্গিনায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তানিয়া বলেন, সততা ফোয়ারা যখন চালু ছিলো তখন ক্যাম্পাসের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি স্থাপনা ছিলো এটি। কিন্তু অযত্নে অবহেলায় এখন এটি তার নিজের বৈশিষ্ট্য হারিয়ে খুজছে। মাঝেমধ্যে এক দুইদিনের জন্য চালু হয় তাও আবার পরে হারিয়ে যায়। আমরা শিক্ষার্থীরা একটি সুন্দর ক্যাম্পাস প্রত্যাশা করি। সেখানে এই সততা ফোয়ারা শহীদ মিনার এবং স্মৃতি সৌধের মাঝে একটা অন্যরকম সুন্দরের প্রতীক হয়ে থাকতে পারতো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজর না থাকায় এখন নবীন শিক্ষার্থীরা জানেই না এর কাজ কি। তাই আমার চাওয়া দ্রুত যেনো এর সংস্কার হয় এবং সবসময় এটি চালু থাকুক।
সততা ফোয়ারা এর আগে একটা অনুষ্ঠানের জন্য চালু করা হয়েছিলো উল্লেখ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) এ.কে.এম শরিফ উদ্দীন জানান, ফোয়ারার কন্ট্রোল রুমের পরিবেশ ভালো না। সেখানে বৃষ্টিতে পানি ঢুকে যায় ফলে আমাদের মোটর গুলো সড়িয়ে নিতে হয়।
লোকবল সংকটের কথা টেনে তিনি আরও বলেন, এমন একটি স্থাপনা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লোক দরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি ও ধরন কেমন হবে বিষয়গুলো যাচাইয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটি কাজ শুরু করেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট হলে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শ্যামা হক বিদিশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল মতিনকে নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- তাহমিদা বেগম, বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা।
বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, আবাসিক হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কোন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে মূল অংশীজনদের আলোচনা, পরামর্শ ও প্রতিক্রিয়া সহজ করতে একটি পরামর্শ বাক্স স্থাপন ও বিশেষ ই-মেইল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক, ডাকসুর সাবেক নেতা ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় করা হবে।
কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রকৃতি ও অনুশীলন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করবে।
কথায় আছে বাঙালি ভোজনরসিক। তাই তো ছুটির দিনে বিভিন্ন রকম খাবারের স্বাদ নিতে ছুটে যান একস্থান থেকে আরেক স্থান। নগরের ভোজনরসিকদের কথা মাথায় রেখে দেশের ঐতিহ্যবাহী সব খাবার নিয়ে ঢাকা ফুড ফেস্টিভ্যাল ২.০ আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ স্টুডেন্টস এন্ড অ্যাগ্রিকালচার এন্ড রিলেটেড সায়েন্স (ইয়াস) শেকৃবি ঢাকা।
এছাড়াও ফুড ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত রেডি-টু-ইট ইলিশ।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভবনে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় এই ফেস্টিভ্যাল। অনুষ্ঠানটি সকাল দশটায় শুরু হয়ে রাত ৮.৩০ মিনিট পর্যন্ত চলমান ছিল।
ফেস্টিভ্যালের শুরুতে সকাল ১০টায় ইয়াস-শেকৃবি এবং আহারের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেফ ফুড শীর্ষক একটি প্যানেল ডিস্কাসন অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল ডিস্কাসনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অনুষ্ঠানটিতে প্রায় ১৬টি স্টল বসেছে। স্টলগুলোতে দেখা যায় খুলনার চুই ঝাল থেকে হাঁসের মাংস, নবাবি সেমাই থেকে জামাই পিঠা সহ হরেক রকমের খাবারের আয়োজন রয়েছে।
পরে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ ফুড ফেস্টাভ্যালটি পরিদর্শন করেন।