৭ দফা দাবিতে সিকৃবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

৭ দফা দাবিতে সিকৃবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৭ দফা দাবিতে সিকৃবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রক্টর, রেজিস্ট্রার এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা কর্মকর্তার পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বর্জন করা হয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা ।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে তারা এই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সিকৃবি কর্তৃপক্ষ দ্বারা ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাতের সংঘর্ষকে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড ও তদন্তবিহীনভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে ‘ছাত্রলীগ সমর্থিত’ শিক্ষার্থী হিসেবে আখ্যা দেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতাউর রহমান। কোনোরকম ভিত্তি প্রমাণ ও তদন্ত ছাড়া এরকম মন্তব্যের জন্য প্রক্টরিয়াল বডি ও সিকৃবি প্রশাসনকে জবাবদিহি করে তদন্তের অগ্রগতি ও উক্ত সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত সকলের শাস্তি নিশ্চিত, প্রক্টরিয়াল বডির প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ তাদের পদত্যাগ চাওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবিগুলো হলো-

বিজ্ঞাপন

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রেজিস্ট্রার এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা কর্মকর্তা খসরু মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ সকলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।

২. যারা ভিসিকে রাজনৈতিক ব্যানারে যুক্ত করে বক্তব্য প্রদান করেছ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৩. ২৪ অক্টোবর রাতের সংঘর্ষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত ছাত্রদলের সম্পূর্ণ বিষয় যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার নিশ্চিত করতে হবে।

৪. বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।

৫. সংবাদপত্রে প্রকাশিত শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দলের ট্যাগযুক্ত করা মন্তব্য প্রত্যাহার করা এবং শিক্ষার্থীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল দলের ট্যাগ দেওয়া সম্পর্কে যুক্তিপূর্ণ জবাব দেওয়া।

৬. শিক্ষার্থীদের অ্যানোনিমাস মার্কিং ও পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে ফেলকৃত বিষয়ের ইমপ্রুভ পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। শুধু রিক্যারির (একটি বিষয়ে দুবার ফেল) মাধ্যমে ইয়ার ড্রপ ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।

৭. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র সার্বক্ষণিক (২৪/৭) খোলা রাখতে হবে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২৪ অক্টোবর ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে দাবি করেছে প্রশাসন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা দাবি আদায়ের জন্য আমাদের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছি। গত দুইদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা এটি করেছি। আমরা গত রাতে ভিসি স্যারের সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করতে চাইলেও তিনি আমাদেরকে সময় দেননি। আমাদের দেওয়া দাবি মানা না হলে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন থাকবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ প্রফেসর ও চেয়ারম্যান সুলতানা আহমেদ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছি। সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল ভাইস চ্যান্সেলর সাথে কথা বলবেন। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দিয়ে দেওয়া বিবৃতি ভুল করে দেওয়া হয়েছে এবং এ নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আতাউর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।