বেরোবিতে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ : উপাচার্য
বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেছেন, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ থাকবে। কোন শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী রাজনীতিতে জড়িত থাকতে পারবেন না।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ১০৮ তম সিন্ডিকেট সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য এই কথা বলেন।
বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্রদের নৈতিক ও একাডেমিক শৃঙ্খলা তত্ত্বাবধায়ন ও নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হলের সিট বানিজ্য ও দখলকারী লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির বন্ধ থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় গেজেট অনুযায়ী, কোন শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী রাজনীতিতে জড়িত থাকতে পারবেন না। কেউ যদি জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন এতদিন তো ক্যাম্পাসে হয়ে আসছে , তার উত্তর আমার কাছে নেই। তবে এখন যদি আমরা পাই আমরা গেজেটের আলোকে ব্যবস্থা নিব।
তিনি আরও বলেন, আবু সাঈদ হত্যার সাথে জড়িত দুই শিক্ষক ও সাত কর্মকর্তা, কর্মচারী কে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। বাকি ৭২ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে তিন ক্যাটাগরি রয়েছে। কাকে কোন ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে তা শৃঙ্খলা বোর্ড ঠিক করবে। এছাড়াও জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আলাদা মামলা করা হবে।
উপাচার্য বলেন, যে সকল শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটি ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বেতন ভাতা কর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিন্ডিকেট বোর্ড সেটির দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন।
এদিকে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ ও উচ্ছাস করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা ও ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধে দাবি জানিয়ে আসছিলেন।