ঢাবিতে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনির কোটা বাতিল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনির কোটা বাতিল/ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনির কোটা বাতিল/ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা থেকে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিলের সুপারিশ করেছে কোটা রিভিউ কমিটি।

এ বছর থেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় কেবল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানই আবেদন করতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

নির্ধারিত কোটায় আসন পূরণ না হলে মেধা তালিকার ক্রমানুযায়ী আসন পূরণ করা হবে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির কোটাসমূহের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ওয়ার্ড কোটা ও খেলোয়াড় কোটায় সংযোজন ও সংশোধনের জন্য গঠিত রিভিউ কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়:

১. মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরই বিবেচনা করার সুপারিশ করা হয়। এই কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার নাতি/নাতনি বিবেচনা না করার সুপারিশ করা হয়।

২. বিগত বছরগুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী যে কোনো নির্ধারিত কোটায় আসন পূরণ না হলে মূল মেধাতালিকার ক্রমানুযায়ী শূণ্য আসন পূরণ করার সুপারিশ করা হয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, উপর্যুক্ত সুপারিশ ১ ও ২ গত ২৩ জুলাই ২০২৪ তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত বিভিন্ন কর্মে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংক্রান্ত নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, এই প্রজ্ঞাপনটি ইতোপূর্বে ঘোষিত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের (সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং- ২৫১৬, ২৫৩৮/২০২৪) আলোকে প্রণীত হয়েছে।

৩. সাধারণ ভর্তি কমিটির ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের সভার আলোচ্যসূচি ৫ এর সিদ্ধান্তের আলোকে প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী এই সুপারিশসমূহ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ হতেই কার্যকর করা এবং তা কার্যকরকল্পে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নের সুপারিশ করা হয়।

রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে সভায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন রাশেদা ইরশাদ নাসির, মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এবিএম শহিদুল ইসলাম, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড মোস্তাফিজুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।