অনলাইন ব্যাংকিংয়ে প্রবেশ করল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব করতে অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চবি প্রশাসনের চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে প্রবেশ করল বিশ্ববিদ্যালয়টি।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে চবির উপাচার্য দফতরের সন্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে এই কার্যক্রম, আশা সংশ্লিষ্টদের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সোনালী ব্যাংক, পিএলসির চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার ফি অনলাইনে আদায়ের মাধ্যমে তাদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হবে এবং অনেক কষ্ট দূর হবে।
তিনি ব্যাংক কর্মকতার্দের উদ্দেশে বলেন, অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ চুক্তি বাস্তবায়ন করে আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত সেবা পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন অংশীজনের নিকট থেকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিভিন্ন প্রকার ফি অনলাইনে আদায়ের সুবিধার্থে সোনালী ব্যাংক, পিএলসি’র সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো, তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কাজে গতিশীলতা আনতে সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করার আহ্বান জানান।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পরপরই শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে খুব গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টা নিয়ে কাজ করি। আজকে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের এই চুক্তি হয়েছে। এখন থেকে সব ধরনের ফি অনলাইনে দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
পেমেন্ট পদ্ধতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য দিয়ে টাকা পরিশোধ করতে পারবে। এক্ষেত্রে যেকোনো ব্যাংকের কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সহযোগিতা নিতে পারবে। এই সেবা পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে যেকোন সময় গ্রহণ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫৮ বছর পেরিয়ে গেলেও বর্তমান প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি চবির ব্যাংকিং সিস্টেম। এনালগ পদ্ধতিতে চলার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে ভর্তি এবং পরীক্ষার ফি জমা দেয়ার ক্ষেত্রে। অনেক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে, যা তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া এমফিল, পিএইচডি এবং সনদনম্বরপত্র উত্তোলনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং লেনদেন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত সময় ও শ্রম ব্যয় করতে হয়। এর আগের বেশ কয়েকবার ডিজিটালাইজেশন করার উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।