ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে ইবি শাখা ছাত্রশিবির। এসময় সহস্রাধিক নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল এবং উপহারসামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেয় সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়ার শিল্পকলা একাডেমিতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় নবীন বরণ প্রোগ্রাম।
এতে সংগঠনটির ইবি শাখার সভাপতি এইচ এম আবু মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট ও বায়েটোকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, কুষ্টিয়া জেলা আমীর অধ্যাপক আবুল হাসেম, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক সোহল এবং সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।
এসময় জামাতে আমীর অধ্যাপক আবুল হাসেম নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জ্ঞান দু’ধরনের। একটা হলো বস্তুবাদী আরেকটা পরকালের। দুইটা জ্ঞানের সমন্বয় করে যদি তোমরা এগিয়ে যেতে পারো তখন উভয়কালে সফল হতে পারবে। বস্তুবাদী জ্ঞান অর্জন মানুষকে দুর্নীতি, ক্ষমতালোভী ও নৈতিকতা বিপর্যয় কাজে ধাবিত করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মোহাম্মদ সোহাইল বলেন, শিবির একটি রাজনৈতিক সংগঠন না, এটি একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। যেখানে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও নৈতিক গুণাবলি অর্জনে সমন্বিতরূপে কাজ করে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা আমাদেরকে দাসত্ব শেখায়। আজকের মেধাবী নবীন শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই জাতি সেই গোলামী থেকে রেহাই পাবে।
এসময় কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, চব্বিশের আন্দোলনে প্রথম ত্যাগী আবু সাইদ। এই আন্দোলনে প্রায় ২ হাজার শহীদ ও হাজারো শিক্ষার্থী-জনতার পঙ্গুত্ব বরণ ও আহত হওয়ার বিনিময়ে সফলতা এসেছে। আমরা সকলেই এই আন্দোলনের সামনে ছিলাম। শিবির মেধাবীদের সংগঠন। যে শিবির করবে সৎ, দক্ষ, যোগ্য হবে। ছাত্রশিবির রাজনীতি চর্চা করে না। ছাত্রদের সাথে নিয়ে কাজ করতে চায়।
সভাপতির বক্তব্যে এইচ এম আবু মূসা বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির নানান চড়াই উতরাই ও প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়েছে। এই সংগঠন ছাত্র অঙ্গনে বিপ্লবসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সুস্থ ধারার রাজনীতি গঠন ও বিভিন্ন আন্দোলনে সর্বোচ্চ ত্যাগ-তিতিক্ষা শিকার করেছে। এই ত্যাগ বৃথা যাবে না।