জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের (৫৪তম ব্যাচ) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) শুরু হবে। ভর্তিচ্ছুদের যেসব নির্দেশনা মানতে হবে তা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) ও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওএমআর ফরমের বৃত্ত সাধারণ কালো বলপেন দ্বারা পূরণ করতে হবে। ওএমআর ফরম পূরণে ভুল হলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া পরীক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ফরম দেওয়া হবে না। ফরম ভাঁজ করা, কাটাকাটি করা, অবাঞ্ছিত দাগ দেওয়া, স্টাপলার বা পিনআপ করা এবং ফরমের ওপর পানি ফেলা যাবে না।
ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর, দিনের শিফট ও প্রশ্নপত্রের সেট কোড অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ঘর যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। পরীক্ষা শেষে ওএমআর শিট ও প্রশ্নপত্র পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে।
ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষার আসন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের ন্যূনতম ১০ মিনিট আগে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যাগ, বইপত্র, মুঠোফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর কিংবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। সময় দেখার জন্য পরীক্ষার হলে ঘড়ির ব্যবস্থা থাকবে।
পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা ভিন্ন অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভর্তি পরীক্ষার ফল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ সাতদিনের মধ্যে ju-admission.org ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।
ঢাকা শহর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ঢাকা শহর বা দূরবর্তী অন্য কোনো স্থান থেকে এসে পরীক্ষা দেবে, তাদের যানজটসহ অপ্রত্যাশিত দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘ডি’ (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ইউনিটের পরীক্ষা পাঁচ শিফটে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে শুধু মেয়ে শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। পরদিন সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) একই ইউনিটের ছেলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হবে প্রথম চার শিফটে।
একই দিনে পঞ্চম শিফটে আইবিএ-জেইউর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ছেলে-মেয়ে উভয় শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দুই শিফটে ‘ই’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটে মেয়ে শিক্ষার্থীদের এবং দ্বিতীয় শিফটে ছেলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
একইদিন তৃতীয় শিফট থেকে পঞ্চম শিফট পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটে (গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) আবেদনকারী নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ শিফটে ‘এ’ ইউনিটে (গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) আবেদনকারী ছেলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ছয় শিফটে ‘সি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত কলা ও মানবিক অনুষদ, আইন অনুষদ এবং তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে প্রথম তিন শিফটে মেয়েদের এবং পরবর্তী তিন শিফটে ছেলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম শিফটে ‘সি১’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগের (ছেলে-মেয়ে উভয়) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং পরের তিন শিফটে ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে প্রথম ২ শিফটে মেয়েদের এবং তৃতীয় শিফটে ছেলেদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া সি১ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের লিখিত পরীক্ষায় (MCQ) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে উপস্থিত থাকতে হবে এবং চারুকলা বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।