ইবির সাবেক কোষাধ্যক্ষের ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা বকেয়া, তদন্ত কমিটি গঠন

  • ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক কোষাধ্যক্ষ অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে রেস্ট হাউজ ভাড়া বাবদ ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা বকেয়ার অভিযোগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস। কক্ষটি ১ হাজার ১৪ দিন তার দখলে ছিল বলে এক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। এছাড়া এক সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া টাকা প্রদানের জন্য কর্তৃপক্ষ তাকে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে সাবেক কোষাধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এসব তথ্যকে ভিত্তিহীন ও ব্যক্তিগত প্রতিহিংসামূলক বলে দাবি করেছেন এবং উদ্ভুত অভিযোগের পাল্টা জবাবও দেন সাবেক কোষাধ্যক্ষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের কমিটি করেছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ থাকাকালীন ক্যাম্পাস্থ রেস্ট হাউজের ৩০৩ নং কক্ষটি গত ২৬ অক্টোবর, ২০২১ থেকে ৭ আগস্ট, ২০২৪ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১৪ দিন ড. ভূঁইয়ার দখলে ছিল। তার মধ্যে একশত চব্বিশ দিন তার অনুমতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত অতিথিরা সেখানে থাকলে যথারীতি ভাড়া পরিশোধিত হয়। বাকি আটশত নব্বই দিনের ভাড়া বাবদ ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা এখনও প্রদান করেননি তিনি। বকেয়া টাকা প্রদানের জন্য ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা জমা না দিলে বেতন থেকে কেটে নেওয়ার জন্য বিভাগকে অবহিত করা হবে বলেও সূত্র জানিয়েছেন।

সাবেক কোষাধ্যক্ষ তার পাল্টা জবাবে জানান, অভিযোগ রহস্যজনক ও ভিত্তিহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখা ও ভর্তি পরীক্ষার গোপনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ১৮ দিন ব্যবহার করেছি। ১২৪ দিন অতিথির কক্ষ যে আমার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা মিথ্যা ও মনগড়া। বিগত তিনটা গুচ্ছ ভর্তির পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপনীয়তা রক্ষার্থে সাবেক ভিসি ও প্রো ভিসির সম্মতিক্রমে তিনবর্ষে ৬ দিন করে মোট ১৮ দিন ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে সাবেক প্রো ভিসি ও আমি নির্দিষ্ট সময় ২টা কক্ষ ব্যবহার করেছি।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে এস্টেট প্রধান মো. আলাউদ্দিন বলেন, সাবেক ট্রেজারার স্যারের নামে রেস্ট রুমে ভিআইপি হিসেবে ছিলেন। এখানে প্রথম দিকে সাবেক প্রো ভিসি যুক্ত থাকলেও স্থায়ীভাবে দখলে রাখেননি। সাবেক ভিসি স্যার তো প্রশ্নও আসে না। কারণ ওনি বাংলোতে থাকেন।

গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ও লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি তদন্তের চিঠি পেয়েছি। আমরা তদন্ত কমিটি বসে আলোচনা করে বিষয়টা নিয়ে সামনে এগাবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, এস্টেট অফিসের রুম নিয়ে মূলত অভিযোগ যেটা নাকি গুচ্ছ পরীক্ষার জন্য নিয়েছিলেন। ভিসি স্যার নিজেই তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে যদি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত টাকাগুলো পায়, তাহলে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে সে প্রদান করতে বাধ্য।