ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে চাপা বিভক্তি



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু), ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু), ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের বাকী মাত্র ৬ দিন। নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া ছাত্র সংগঠন ও জোটগুলো তাদের প্যানেল থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। স্বতন্ত্রভাবেও অনেক প্রার্থী ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। ইতোমধ্যে ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিশন বৈধপ্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছেন।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সমর্থন, পেশী শক্তি, জনপ্রিয়তা ও কর্মীবাহিনী দিয়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে তাদের রয়েছে বিপুল কর্মীবাহিনী ও একক আধিপত্য। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হওয়ার আগেই ক্যাম্পাস ও হলে প্রচারণাও শুরু করেছে ছাত্রলীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। আর এই প্রচারণাতেই ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে এক ধরনের চাপা বিভক্তি লক্ষ্য করা গেছে।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মতে, নির্বাচনের আগেই এই চাপা বিভক্তি মেটানো না গেলে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের পুরো প্যানেল কাঙ্খিত বিজয় নাও পেতে পারে। তাই ২৮ বছর পর হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ সমর্থিত প্যানেলে কাঙ্খিত বিজয় পেতে এখনই সময় বিভক্তি মিটিয়ে ‘অলআউট’ প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিজয়ের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে নেওয়া।

এবারের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল’ থেকে ভিপি পদে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, জিএস পদে সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও এজিএস পদে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হুসাইন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ছাত্রলীগ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন মনোনয়ন বঞ্চিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সরেজমিনে ঘুরে দেখে গেছে, ইতোমধ্যে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পাসে, হলে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। ছাত্রলীগ নেতাদের ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গেছে ক্যাম্পাস এলাকা। হলের রুমে রুমে প্যানেল পরিচিতির লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে।

তবে এরমধ্যে শুরুতেই বিতর্ক ওঠে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের রঙিন পোস্টার নিয়ে। যে রঙিন পোস্টার ডাকসুর নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী। অভিযোগ আছে, শোভনকে বিতর্কিত করতেই ছাত্রলীগের একটা অংশই সভাপতির অগোচরে রঙিন পোস্টার ছাপিয়ে ক্যাম্পাসে লাগিয়ে দিয়েছে।

এদিকে ক্যাম্পাস ও হলে ছাত্রলীগরে প্রচারণা শুরু হলে সেখানেও সবজায়গায় পূর্ণ প্যানেলকে একসঙ্গে দেখা যায় না। যা থেকে বিভক্তির ধারণা পাচ্ছে ভোটাররা। যেমন গত রোববার (৩ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রংপুর বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেও নিয়ে মত বিনিময় করেন ভিপিপ্রার্থী শোভন। সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন জিএস প্রার্থী রব্বানী ও তার অনুসারীরা ঠিক তেমনি পরেরদিন সোমবার (৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মাদারীপুর জেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্যাম্পেইন করেন জিএস প্রার্থী রাব্বানী, সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন শোভন ও তার অনুসারীরা।

অন্যদিকে ক্যাম্পাসে বিশাল কর্মীবাহিনী থাকা সত্বেও ডাকসুতে ছাত্রলীগের প্যানেলে মনোনয়ন বঞ্চিত সনজিত প্রচার-প্রচারণায় অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। পূর্ণ প্যানেলের প্রচারণায় তাকে যেমনটা দেখা যায় না, ঠিক তেমনি ক্যাম্পাসে তার বিশাল অনুসারী ও কর্মীদের মধ্যেও রয়েছে নিস্ক্রিয়তা। অভিযোগ আছে, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যদি ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যকার ক্ষমতার দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠে সেক্ষেত্রে সনজিতের গোপন সমর্থন চলে যেতে পারে কিশোরগঞ্জ জেলায় বাড়ি এক সতন্ত্র প্রার্থীর দিকে।

এছাড়া ছাত্রলীগের প্রচারণায় নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে গতকমিটির সিনিয়র নেতা-কর্মীদের। ক্যাম্পাসে পরিচিতি, জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে যেমন ভোটের প্রচারণায় ডাকা হয় না তেমনটা অভিমান করেও সিনিয়র ওইসব নেতা-কর্মী আগবাড়িয়ে অলআউট প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে না।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলের দায়িত্বে থাকা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের কাছে নির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আসলে আমাদেরকে নিয়ে কেন্দ্রের কোনো পরিকল্পনা আছে কী না সেটাও আদৌ স্পষ্ট নয়। সবাই তার মাইম্যানদের নিয়েই রাজনীতিতে ব্যস্ত।’

এদিকে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী প্যানেল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালেও তাদেরকেও দেখা যায়নি নির্বচানী প্রচারণায়। ছাত্রলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে তাদের সদস্য করা হলেও ভূমিকা এখনও স্পষ্ট নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতা-কর্মী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ছাত্রলীগের শীর্ষ চার নেতার মধ্যে চাপা বিভক্তি এখন স্পষ্ট। ডাকসু কার্যকর হলে ক্যাম্পাসে ডাকসুর নির্বাচিত নেতাদের মূল্যায়ন বেড়ে যাবে সেই আশঙ্কায় চার নেতাই ক্যাম্পাসে নিজেদের গ্রুপ শক্তিশালী করা ও ক্ষমতার দাপোট বজায় রাখতে একে অন্যের ‘বিরুদ্ধে’ কাজ করছে। নিজেদের কর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে রাখছে। একজনের প্রচারণায় আরেকজন কিংবা তার কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন না। ভোটের যেখানে সপ্তাহখানেক বাকী নেই, সেখানে এই চাপা বিভক্তি অশনি সংকেত।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রলীগের মধ্যকার চাপা বিভক্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনে জিএস পদপ্রার্থী গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাজনে পূর্ণ প্যানেল বিজয় অর্জনে ছাত্রলীগ পরিবার ঐক্যবদ্ধ। স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোটে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসু উপহার দিতে ছাত্রলীগ বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ্য, আগামী ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

   

ছাড়া পেলেন অস্ত্র মামলার আসামী ইলিয়াস মিয়া



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামিনে ছাড়া পেলেন অস্ত্র আইনের মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস মিয়া।

সোমবার (২০ মে) জামিনে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে আমরা খবর পেয়েছি হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক তিনি জামিন পেয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের নয় আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত হন ইলিয়াস মিয়া। সেই মাসের ২৩ তারিখ তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। তবে নয় মাসের মধ্যেই তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল দুপুরে কুমিল্লার কোটবাড়ির সালমানপুর এলাকার ছানিয়া পিকনিক স্পট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক ম্যাগাজিন ও দুটি তাজা গুলিসহ ইলিয়াসকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর র‍্যাবের ডিএডি মো. মোস্তাকিম বাদি হয়ে ঐ দিনই সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের নয় আগস্ট কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার তাকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

ইলিয়াস মিয়া কুবির ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের (প্রথম ব্যাচ) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৮ মে তিনি কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ–বাণিজ্য, সাংবাদিকদের নিপীড়ন ও মারধর, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের মারধর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি, শিক্ষকের বাসায় হামলা, মাদক সেবন, র‍্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, নতুন ক্যাম্পাসে ভূমি অধিগ্রহণে প্রভাব বিস্তারের নানা অভিযোগ রয়েছে।

;

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগে শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্রীড়া বিভাগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ক্যাম্পাসের ক্রীড়া বিষয়ক নানা সমস্যা দূরীকরণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।

সোমবার (২০ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ্ আলম বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।

শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বির উপস্থিতিতে ক্রীড়া সম্পাদক বিজন কৃষ্ণ রায় ও উপ ক্রীড়া সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৬ দফা দাবিগুলো হলো- ফুটবল মাঠে স্থাপিত দুইটি সুপেয় পানির কল সংস্কার এবং ক্রিকেট মাঠে অনতিবিলম্বে দুটি পানির কল স্থাপন করতে হবে, ক্রিকেট মাঠে স্থায়ী দুইটি প্লেয়ার ডগআউট স্থাপন করতে হবে, জিমনেশিয়াম এবং ইনডোর সপ্তাহে ৭ দিন খোলা রাখতে হবে, ক্রিকেটারদের সুবিধার্থে নতুনভাবে কংক্রিট পিচ স্থাপন করতে হবে, ফুটবল ও ক্রিকেট মাঠ যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে, সকল ইনডোর এবং আউটডোর গেমস সমূহ যথাযথভাবে আয়োজন করতে হবে।

এসময় শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ্ আলম বলেন, আমি স্মরকলিপিটি জমা নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক ছিলো। আমি দাবিগুলো প্রশাসনের কাছে উত্থাপন করবো। আশা করি প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নিবে।

;

সর্বজনীন পেনশন বাতিল চান শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন শিক্ষকরা এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (২০মে) সকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্লাবে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া। লিখিত বক্তব্যে পেনশন স্কিম বাতিল না করা হলে প্রথমে তিন দফায় আন্দোলন ও পরবর্তীতে বড় ধরনের আন্দোলনের কথা জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া আরও বলেন, এই ব্যবস্থা পহেলা জুলাইয়ের আগে যোগদানকৃত এবং তার পরে যোগদানকৃতদের মধ্যে দুটি শ্রেণির জন্ম দেবে। একই কর্মক্ষেত্রে অবস্থানরত সহকর্মীদের মধ্যে এই বিভাজন শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রতিটি ধাপেই নতুন নিয়োগ হয়। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অন্য প্রভাব ফেলবে।

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করলে সেটিও নতুন নিয়োগের ভিত্তিতে হয়। এই ব্যবস্থা সরকারি অন্যান্য চাকরিজীবী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য তৈরি করবে, যা সংবিধানের সমতার নীতির পরিপন্থি। বর্তমান ব্যবস্থায় পেনশন বাবদ কোনো অর্থ কর্তন করা হয় না। 'প্রত্যয়' স্কিমে মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা ৫০০০ টাকা (যেটি সর্বনিম্ন) হারে টাকা কর্তন করার বিধান রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্য হন। 'প্রত্যয়' স্কিমে আনুতোষিক শূন্য। বিদ্যমান পেনশনার ও নমিনি আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হন। 'প্রত্যয়' স্কিমে পেনশনারের মৃত্যু হলে নমিনি পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পূর্তি হওয়া পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্ত হবেন। বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় পেনশনের ওপর বৎসরিক ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট প্রদান করা হয়। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিষয়টি সুস্পষ্ট নয়। বিদ্যমান ব্যবস্থায় অর্জিত ছুটি নগদায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রস্তাবিত স্কিমে সে সুবিধা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদকাল ৬৫ বছর। প্রত্যয় স্কিমে অবসরকালীন বয়স স্থির করা হয়েছে ৬০ বছর।

তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষকদের অবনমন করা হয়েছিল। সে সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিষয়টির সুরাহা হয়। সেই আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের তৎকালীন নেতৃবৃন্দকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপারগ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছিল।

অদ্যাবধি সে বিষয়টি কার্যকর করা হয়নি। সেটি অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রদানের দাবি দীর্ঘদিনের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশা মেধাবীদের কাছে আকর্ষণীয় করতে পেশাগত সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তনের দাবি জানাচ্ছি।

এসময় ৪ জুনের পর কেমন আন্দোলন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, সেটা সময় আসলেই জানা যাবে। পলিসি মেইনটেইন যারা করছেন তার সাথে তো আমরা জড়িত না তবে একটা মহল তো আছেই যারা এ ধরনের কাজ করছে। একটি চক্র কি আসলে শিক্ষকদেরকে নিয়ে কোনো অপচেষ্টা চালাচ্ছে কি না সেটা গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা পলিসি যারা মেইনটেইন করে তাদেরকে নোটিশ করতে চাই।

সম্মেলনে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

;

ঢাবিতে বিবিএ পড়াকালেই সিএ ভর্তির সুযোগ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিবিএ পড়াকালেই ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এ ভর্তির সুযোগ পাবে। এ ছাড়াও, সিএ পড়ার ক্ষেত্রে এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩টি কোর্স মওকুফ করা হবে।

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশে সিএ শিক্ষা ও গবেষণার প্রসার এবং এবিষয়ে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ এবং দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং আইসিএবি'র প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন এফসিএ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধা পাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ, আইসিএবি'র সিইও শুভাশিস বোস এফসিএ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট এমবিএম লুৎফুল হাদী এফসিএ, ভাইস- প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার এফসিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের বিবিএ প্রোগ্রামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

;