ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেন সনজিত-সাদ্দামের কক্ষে



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সনজিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসেন, ছবি: সংগৃহীত

সনজিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা থাকার সমস্যায় পড়লে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের কক্ষে থাকতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বিষয়টি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

এতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা সংক্রান্ত কার্যক্রম তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, 'যেসব শিক্ষার্থীরা আগের দিন রাতে আসবে তারা আমাদের রুমে থাকতে পারবে। আমরাতো সিঙ্গেল রুমে থাকি। আমাদের রুমে ১৬-১৭ জন থাকতে পারবে।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের হেনস্তা কিংবা হয়রানির স্বীকার না হয় সেজন্য ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল আচরণ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, 'সব ধরনের জালিয়াতের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি।' এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

এর আগে ঢাবিতে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ১০টি সেবার দেওয়ার কথা বলে ঢাবি ছাত্রলীগ।

আরও পড়ুন: ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রলীগের ১০ সেবা

   

জবিতে মাস্টারপ্ল্যান না করে ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবি



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদুল আজহার ছুটিতে গাছ কেটে নির্মাণ কাজ শুরু না করার আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে যত্রতত্র ভবন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ বিষয়ে স্মারকলিপি জমা দেন ৩ শিক্ষার্থী। এ সময় উপাচার্য তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।

স্মারকলিপি জমাদানকারী শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম ও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাস বন্ধকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের অফিশিয়াল কাজ বন্ধ থাকে এমনকি অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভা করার অনুমতিও নেই। তাই আমরা বন্ধে গাছ না কাটতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বন্ধে গাছ কাটার বিরুদ্ধে আমরা সদা তৎপর। যদি প্রশাসন ভবন তৈরির নামে বন্ধ-ক্যাম্পাসে লুকোচুরি করে গাছ কাটার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা দেখায় তাহলে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায় প্রশাসন তথা মাননীয় উপাচার্যকেই নিতে হবে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি সারা দেশে ‘হিট ওয়েভ’ এর মতো উচ্চ তাপমাত্রাগত পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গড় তাপমাত্রা রাজধানী ঢাকার গড় তাপমাত্রার তুলনায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম দেখা গেছে, যা অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অস্তিত্বশীল বিশেষ প্রাণ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যেরই ইতিবাচক অবদান।

স্মারকলিপিতে তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এমন একাধিক স্থানে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে যেখানে ভবন নির্মাণ করতে হলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্ভিদ কর্তন করা হবে, জলাশয় ভরাট ও লেক ক্ষতির সম্মুখীন হবে যা প্রাণিকুলের বাস্তুসংস্থান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশগত বৈচিত্র্যের জন্যে অমোচনীয় ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। আমরা সকলেই অবগত আছি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে যা মাস্টারপ্ল্যানকে উপেক্ষা করেই হয়েছে। পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিতি ও বৈশ্বিক জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশকে সচেতন ও প্রস্তুত করার বিদ্যায়তনিক দায়িত্বের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনস্বীকার্য ব্যর্থতা।

এছাড়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পরিবেশগত ক্ষতি এড়িয়ে ভবন নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সকল অংশীজনদের অংশগ্রহণে বিশেষজ্ঞনির্ভর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং ও উন্নয়নকার্যে তার অনুসরণ অপরিহার্য। প্রশাসন এই প্রয়োজন উপলব্ধি করে ইতোমধ্যেই একটি ‘মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন কমিটি’ গঠন করায় আমরা সাধুবাদ জ্ঞাপন করছি। তবে, অংশীজনের মতামত ছাড়াই কমিটি প্ল্যান প্রনয়নরত অবস্থাতেই, অর্থাৎ মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বেই তড়িঘড়ি করে ভবন নির্মাণ শুরু হলে প্রশাসনের সদিচ্ছা ও দায়িত্বশীলতা ব্যাপক আকারে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি। এমতাবস্থায় সব অংশীজনের মতামত ছাড়াই ভবন নির্মাণের জায়গা চূড়ান্ত না করে, মাস্টারপ্ল্যানের খসড়া প্রণয়ন না করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা সমীচীন নয়।

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের জন্যে প্রস্তাবিত ভবন নির্মাণস্থলে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ও জীববৈচিত্র্যের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি জলাশয় রয়েছে যা ভবন নির্মাণকার্যের অংশ হিসেবে ভরাট করতে হবে। এই জলাশয়টি ভরাট হয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন আশঙ্কা রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ। জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কেউ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে। শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আইন অমান্যকারীর নিজ খরচে সেটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধানও আছে। চারুকলা অনুষদকে পুরোনো আলবেরুনী হল বর্ধিতাংশ সংলগ্ন স্থান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যাতে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ও অতিথি পাখিদের বিচরণ স্থান হিসেবে পরিচিত একটি জলাশয় রয়েছে। এছাড়াও নানা জাতের গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্যে এই স্থানটি সমৃদ্ধ। এখানে ছোটো বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক গাছ রয়েছে। স্থানটি পরিযায়ী অতিথি পাখিদের ‘ফ্লাইং জোন’ হিসেবেও স্বীকৃত। ভবন নির্মাণার্থে উক্ত লেকে পরিযায়ী পাখির বিচরণ রুদ্ধ হবে ও উদ্ভিদসমূহ কর্তন করা হলে এই অঞ্চলটি ও সার্বিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। কলা ও মানবিকী অনুষদের অংশীজনদের মতামত ছাড়াই বর্তমান প্রশাসনিক ভবনের পেছনে তাঁদের বর্ধিতাংশ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা বর্তমান প্রশাসনিক ভবনকে পূর্নাঙ্গকরণের প্রয়োজনীয় কাজে জটিলতা সৃষ্টি করবে।

সবশেষে স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত ও ভাবমূর্তিগত স্বার্থ আমলে নিয়ে দ্রুততম সময়ে যথাযথ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করে তার অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যেকোনো প্রয়োজনীয় ভবন কিংবা স্থাপনা নির্মিত হোক। আমরা বিনীতভাবে জানাতে চাই যে, মাস্টারপ্ল্যান ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ে জীব ও উদ্ভিদবৈচিত্র্য নষ্ট করে গৃহীত যেকোনো পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলছি এবং আমাদের যৌক্তিক আবেদনের পরেও প্রশাসন যদি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ অনুমোদন করে থাকে তবে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়ার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের৷

;

জবিতে চালু হলো মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জবিতে চালু হলো মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক

জবিতে চালু হলো মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক

  • Font increase
  • Font Decrease

উপমহাদেশের বরেণ্য ইতিহাসবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রবর্তন করা হয়েছে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) উপাচার্যের সভাকক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদকের ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়।

এই ট্রাস্ট ফান্ডের উদ্যোক্তা অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। পরে তার এই উদ্যোগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের পরিবার। প্রাথমিকভাবে দাতারা দশ (১০) লক্ষ টাকা প্রদান করে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেন।

এই ট্রাস্ট ফান্ডের মূল লক্ষ্য, প্রতিবছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে বি. এ. (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষে স্নাতকের ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ধারী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের প্রায় সকলের শিক্ষক তিনি। আগামীকাল ২৪ মে অধ্যাপক মামুনের ৭৩তম জন্মদিন। বরেণ্য এই শিক্ষকের কর্মময় জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ আজ আয়োজন করেছিল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুর্শিদা বিনতে রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক খোদেজা খাতুন। দাতাদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- ফাতেমা মামুন ও অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদেরসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রায় পাঁচ দশক ধরে শিক্ষকতা, ইতিহাস চর্চা ও রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক। খুলনার গণহত্যা জাদুঘর ও বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর প্রতিষ্ঠাতা।

;

চবিতে শুরু হতে যাচ্ছে ক্যারিয়ার ফেস্ট



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক্সিলেন্স বাংলাদেশ ও মার্কেটিং সোসাইটি ফর লিডারশিপ প্রোলিফারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ক্যারিয়ার উৎসব 'কীরণ মাস্টারকার্ড প্রেজেন্ট চট্টগ্রাম ক্যারিয়ার ফেস্ট ২০২৪'।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এক্সিলেন্স বাংলাদেশ এর এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার মাহবুব এ রহমান ও মার্কেটিং সোসাইটি ফর লিডারশিপ প্রোলিফারেশনের (এমএসএলপি) সাধারণ সম্পাদক রাফি মিনহাজ।

আগামী ২৫ মে (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধিত প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।

আয়োজনে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তুনাজ্জিনা সুলতানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আয়োজন উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আবু তাহের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী ও অধ্যাপক বেনু কুমার দে।

দিনব্যাপী এ আয়োজনে দেশের বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সিইও, ফাউন্ডারসহ আলোচক হিসেবে থাকবেন ২২ জন অতিথি। আমন্ত্রিত অতিথিরা হচ্ছেন, সাব্বির নাসির, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসিআই লজিস্টিক লিমিটেড (স্বপ্ন)। মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ফাউন্ডার এন্ড ম্যানেজিং পার্টনার বিল্ড আইকন কনসালটেন্সিস লিমিটেড। ফাহিম মাশরুর, সিইও বিডিজবস.কম, শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ। ইন্দ্রনীল চট্টপাধ্যায়, সিএমও ব্রাক ব্যাংক,পিএলসি। মঞ্জুরুল হক, ফাউন্ডার, বারকোড রেস্টুরেন্ট গ্রুপ। জিসান কিংশুক হক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিডস একোনমি লিমিটেড।
তানভীর শাহরিয়ার রিমন, সিইও র‍্যাংকন রিয়াল এস্টেট এন্ড সি ফিশিং।

আরও থাকবেন, জাবেদ সুলতান পিয়াস, চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার প্রথম আলো। মানজুমা মুর্শেদ, ম্যানেজিং পার্টনার্স মেন্টর চিটাগং। তাওহিদা শিরোপা, ফাউন্ডার এন্ড সিইও মনির বন্ধু। ইসরাত করিম ইভি, ফাউন্ডার এন্ড ডিরেক্টর আমল ফাউন্ডেশন। ইকবাল বাহার জাহিদ, ফাউন্ডার নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন। ডিপেশ নাগ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর গ্রামীন ডানোন ফুডস লিমিটেড। এহসানুর রাজা রনি, ফিচার ইডিটর এ্যান্ড হেড অফ কন্টেন্ট মার্কেটিং দ্যা ডেইলি স্টার।

রুম্মান কালাম, লিড ডিজিটাল প্রোডাক্ট এ্যান্ড ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশ, ফাউন্ডার এ্যাট র‍্যান্টেজ। নাফিজ সেলিম, সিইও ইমপ্যাক একাডেমি। কিংকর আহসান, রাইটার এন্ড ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর। খান ফারহানা, ফাউন্ডার ফারহানাস ব্রাইন্টেশন।
ইমতিয়াজ চৌধুরী, সেলস ডিরেক্টর সিগনেন্টা বাংলাদেশ লিমিটেড। সানজিদ হোসাইন, সিইও ডি-লজিক। তাজদিন হাসান, চিপ অপারেশন অফিসার কিরণ, চিপ বিজনেস অফিসার দ্য ডেইলি স্টার।

এছাড়াও মিউজিক সেশন পরিচালনা করবেন, সাদী মোহাম্মাদ শাহ নেওয়াজ এবং অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবেন এক্টর এন্ড ডিরেক্টর শারাফ আহমেদ জীবন ।

;

বর্ণাঢ্য কর্মসূচি নিয়ে পালিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

'তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষা' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ১ জুলাই উদযাপন করা হবে ১০৪তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত এক সভায় দিবসটি উদযাপনের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচি অনুযায়ী ঐদিন সকাল ৯.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ শোভাযাত্রা সহকারে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সমবেত হবেন। স্মৃতি চিরন্তন চত্বর থেকে সকাল ৯.৪৫ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখস্থ পায়রা চত্বরে গমন করবেন। সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সম্মুখস্থ পায়রা চতুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন উড়ানো, কেক কাটা এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল ১০.৩০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ঐদিন সকাল ৯.৩০টা থেকে ১০.৩০টা পর্যন্ত নীলক্ষেত ও ফুলার রোড থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথ যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে। এসময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকলকে অনুরোধ জানান কর্তৃপক্ষ।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সড়কসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে তোরণ নির্মাণ এবং রোড ডিভাইডার ও আইল্যান্ডসমূহে সাজ-সজ্জা করা হবে।

উল্লেখ্য, ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।

;