বশেমুরবিপ্রবি’তে দাবি একটাই ‘ভিসির পদত্যাগ’
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) ক্যাম্পাস এখন মিছিলের ক্যাম্পাসে পরিণত হয়েছে। সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল থেকে এবং হলের বাইরে থেকে আগত শিক্ষার্থীদের একের পর এক মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিণ করছে। মিছিল থেকে তারা একটাই দাবি করছেন ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগ।
আন্দোলনের পঞ্চম দিনেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে বশেমুরবিপ্রবি’র ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি। যে কারণে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো মামলা দায়ের না করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, গত শনিবার ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্নস্থানে বহিরাগতদের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আবারও হামলার আশঙ্কা করছেন। এ ঘটনায় সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ূন কবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় পদত্যাগ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা করেনি। তবে এ ঘটনায় ভিসি নিন্দা জানিয়ে একদিন পর বিবৃতি দিয়েছেন এবং ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
হামলার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিন-রাত ভিসি’র বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে স্লোগানের পর স্লোগান চলছে। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ভিসির বিরুদ্ধে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বশেমুরবিপ্রবি'র ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
এদিকে, আন্দোলনের মুখে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. নুরউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছি। সেটা অমান্য করে শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস ছাড়েনি। শিক্ষার্থীদের ওপর ক্যাম্পাসের বাইরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন: বশেমুরবিপ্রবির বন্ধ ক্যাম্পাসে আন্দোলন অব্যাহত
প্রশাসনের বিরুদ্ধে হলের পানি ও বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে সেই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রেজিস্টার বলেন, ‘হলের পানি ও বিদ্যুৎ বন্ধের যে অভিযোগ শিক্ষার্থীরা করেছেন তা সঠিক নয়। যে দিন বন্ধ ছিল সেদিন সারা গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ ছিল না। তাই পানিও তোলা সম্ভব হয়নি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বিষয়টি অন্যভাবে উপস্থাপন করেছে।’