বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
উদযাপিত হল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

উদযাপিত হল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘উন্নয়নের জন্য সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন’ স্লোগানকে সামনে রেখে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসমূহের মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, নাটক পরিবেশনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা উৎসব।

রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টা ১০মিনিটে শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্টার, চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যান্ডদলে সুসজ্জিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রাটি শহীদ মিনার চত্বর হতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায় সাহেব বাজার মোড় ঘুরে, বাংলাবাজার ওভারব্রিজ পরিক্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় গেট দিয়ে প্রবেশ করে শেষ হয়। এসময় ছাত্র-ছাত্রীরা নানা রঙ-বেরঙের টি-শার্ট ও শাড়ি পরে নেচে গেয়ে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ নিজস্ব বিভাগীয় ব্যানারে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

র‌্যালি শেষে সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় চারুকলা বিভাগের উদ্যোগে ২য় বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ২০১৯ এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। এতে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি ও অন্যান্য শিল্প কর্ম স্থান পায়। উল্লেখ্য, আজ শুরু হওয়া ২য় বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী-২০১৯ প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বেলা ৩টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং ২৮ অক্টোবর প্রদর্শনীটির সমাপ্ত হবে।

এরপর সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের সার্বিক সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ প্রতিষ্ঠিত। একাডেমিকভাবে সেশনজট মুক্ত, কারিকুলামের আধুনিকায়ন ও মেধাবী শিক্ষকবৃন্দের প্রয়াসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আজ সকল অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দের ভর্তির জন্য মূল আকর্ষণ। এছাড়াও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর কোন র‌্যাগিং ও অন্য রকম অন্যায় আচরণের ঘটনা সংঘটিত হয় না। এই সকল ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত সজাগ রয়েছেন।'

তিনি আরো বলেন, 'আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ই বাংলাদেশে একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে ১০৪ জন অধ্যাপকের মধ্যে ১০১ জন অধ্যাপক পি.এইচ.ডি ডিগ্রিধারী বাকি ৩জনের ডিগ্রি প্রক্রিয়াধীন। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২০২০ সালের জুন মাসের পর কোন শিক্ষক পি.এইচ.ডি ডিগ্রি ছাড়া অধ্যাপক পদে প্রমোশন পাবে না। গবেষণায় তরুণ শিক্ষকবৃন্দ অনেক এগিয়ে গিয়েছে, প্রায় শতাধিক শিক্ষক ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডার মতো দেশে তাদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করছেন এবং কেউ কেউ ডিগ্রি সম্পন্ন করে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন।'

জগন্নাথ দিবস উদযাপন
ড. মীজানুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যান্ডদলে সুসজ্জিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম 

আলোচনা সভায় রেজিস্টার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান-এর সঞ্চালনায় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমান, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ শওকত জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পেয়ার আহম্মেদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদা আক্তার খানম, আইন অনুষদের ডিন খ্রীস্টিন রিচার্ডসনসহ অনেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।

পরে ১১.৩০মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নাট্যকলা বিভাগের তদারকিতে শুন্যন নাট্যদলের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নাটক 'লাল জমিন' পরিবেশিত হয়।

এছাড়াও ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনীর আয়োজিত হয়। প্রদর্শনীতে ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ বার্তার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়াও প্রকাশনা প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত গ্রন্থ, বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগ থেকে প্রকাশিত জার্নাল, শিক্ষকদের প্রকাশিত গ্রন্থ ও অন্যান্য মুদ্রণ উপকরণ স্থান পায়।

দিবসটি উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত ব্যান্ড ও লোক গানের দলের ‘অভিকর্ষ’, ‘ট্রাভেলার্স’, ‘মনের মানুষ’, ‘আবোল-তাবোল’, ‘স্বপ্নবাজি’, এবং ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ ব্যান্ডদল দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধারাবাহকিভাবে গান পরিবেশন করছে। শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর গান পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সকলে উদ্বেলিত ও উৎফুল্ল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌদ্দবছর পূর্তি উদযাপন করে।

এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউটস কর্তৃক উপাচার্যকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বাঁধন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি পালিত হয়।
উল্লেখ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০১৯ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনসমূহ আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।

   

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের পরিক্ষার জন্য প্রস্তুত জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৭ এপ্রিল)। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পাঁচটি উপকেন্দ্রসহ মোট ছয়টি কেন্দ্রে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২ টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১টা পর্যন্ত। পরবর্তীতে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং পরীক্ষা) বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

যেসব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারণ করেছিল তাদের আসন বিন্যাস জবি ক্যাম্পাস ও এর আওতায় থাকা উপকেন্দ্রগুলোতে সাজানো হয়েছে। উপকেন্দ্রগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ। এসব কেন্দ্রে মোট পরীক্ষা দিবেন ৫৩ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী।

জবি ক্যাম্পাস জুড়ে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে ৭০ জন পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তীব্র গরমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সেবায় জবি কেন্দ্রের বাইরে ভ্রাম্যমাণ পানি বিতরণের বুথ ও চিকিৎসক থাকবে। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত থাকবে কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে জবি ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে প্রত্যেকটি উপ-কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যানজট নিরসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের মোড় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যানবাহন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আমরা কয়েকদফা কথা বলেছি৷ নিরাপত্তা রক্ষার্থে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রগুলো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জবি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭৯ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজার, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজার এবং রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের আসন বিন্যাস করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রে নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ কেন্দ্র ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে 'বি' (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে 'সি' (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

খাবারের টাকা বাঁচিয়ে ইবি শিক্ষার্থীর বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শাখা ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে ব্যক্তি উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মেজবাহুল আহমেদ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল এবং গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু হলের আঙ্গিনায় এবং হলের চারিপাশে এই বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। এসময় তাকে আম, কাঁঠাল, নিম, পেয়ারা, বরই, আমলকীও সুপারিসহ নানা ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করতে দেখা যায়।

মেজবাহ জানান, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ যে নির্দেশনা প্রদান করেছে তারই অংশ হিসেবে আজকের এই বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য আগামী আরো কিছুদিন টানা এই কর্মসূচি চলমান রাখবো এবং গাছগুলোর যত্ন করবো। পাশাপাশি আমি অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের আহ্বান করবো যেনো তারাও বৃক্ষ রোপণ করে। কেননা এই তাপপ্রবাহ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার খাবারের টাকা থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আশা করি আমার দেখাদেখি আরো অনেকেই এগিয়ে আসবে।

এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৬টি নির্দেশনা এবং ২০০০ বৃক্ষরোপণের প্রতিশ্রুতি দেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। একইসঙ্গে ব্যক্তি উদ্যোগে সর্বোচ্চ সংখ্যক বৃক্ষ রোপণকারীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছেনন এই নেতা।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

জবি ক্যাম্পাসে গাড়ি প্রবেশ নিয়ে নির্দেশনা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার অংশ হিসেবে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) 'এ' ইউনিটের পরীক্ষার দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে সকল ধরনের ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ইউনিট-এ আগামী ২৭ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে পরীক্ষার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ও বহিরাগত গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উল্লেখ্য: গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে বি ইউনিটের (মানবিক) ৩ মে (শুক্রবার) এবং সি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ মে (শুক্রবার)। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং অন্য দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

;

সন্ধ্যা নামতেই শুরু কেনাবেচা

চবির আবাসিক হলে মাদক কারবার



মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী, চবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪. কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। প্রতি বছর আকাশসম স্বপ্ন বুকে নিয়ে দুঃখিনী মা ও পরিশ্রমী বাবার প্রত্যাশাগুলোকে বাস্তবে রূপদান করতে হাজারও শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করতে আসেন।

মুক্ত ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ ও অসৎ সঙ্গ পেয়ে কিছু বুঝে উঠতে না উঠতেই কেউ কেউ যুক্ত হয়ে যান মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে। এই অন্ধকার জগত থেকে বের হতে না পেরে ঝরে যায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী! ভেস্তে যায়, কত কত বাবা-মায়ের আশা-আকাঙ্ক্ষা!

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত শিক্ষার্থীদের অনেকেই অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিভিন্ন হলে। এদের মধ্যে অনেকেই আবার অছাত্র কিংবা বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী।

সন্ধ্যা নামতেই চবি ক্যাম্পাসে বসে মদ, গাঁজা ও ইয়াবার আসর। শুরু হয়, মাদকাসক্তদের আনাগোনা। যে করিডরে পাওয়ার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চাপা গুঞ্জন, সেখানে মেলে গাঁজার উৎকট গন্ধ। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বিভিন্ন স্থান থেকে চালান নিয়ে এসে মদের ব্যবসাও করেন। সরবরাহ করেন ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীর।

সম্প্রতি, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, তার মাদক কেনাবেচা ও সরবরাহের জন্য রয়েছে বিশাল এক সিন্ডিকেট। এজন্য তিনি রাজনৈতিক প্রভাবকে পুঁজি করে চালান মাদক ব্যবসা। তার দাবি, তিনি শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের একাংশের অনুসারী। থাকেন এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নম্বর কক্ষে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই হলে সম্প্রতি মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। মদ, গাঁজা ও ইয়াবা তাদের নিত্যসঙ্গী। এর কাউকে কাউকে প্রকাশ্যে মাতলামি করতেও দেখা গেছে।

এ ঘটনার অনুসন্ধানে এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নম্বর কক্ষে প্রকাশ্যে কয়েকটি মদের বোতল পাওয়ায়। এরপর বুধবার (২৪ এপ্রিল) কক্ষটি সিলগালা করে দেয় হল কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টায় এ এফ রহমান হলে মদপান, মাতলামি ও মাদক সরবরাহের অভিযোগে আশিকুজ্জামান জয় নামের এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে পিটিয়ে বের করে দেয় শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন কর্মী।

এ বিষয়ে এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শাকিল আহমেদ জানান, চবির এ এফ রহমান হলে সম্প্রতি মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিলে দেখা যাবে, সবচেয়ে বেশি মদ, গাঁজা ও ইয়াবা খায় এই হলের ছেলেরাই।

তিনি বলেন, আমাদের ব্যাচেরই এক শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান জয় ঈদের পরপরই হলে ৭ থেকে ৮ কেজি মাদকদ্রব্য নিয়ে আসে এবং খেয়ে মাতলামি করে। এজন্য তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হলেও সে শোনেনি। ফলে, তার সঙ্গে আমাদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার কাছে বিষয়টির সত্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ এফ রহমান হলের সবাই জানে যে, জয় পুরোপুরি মাদকাসক্ত। সে অনেকদিন ধরেই মদ, ইয়াবা সেবনের সঙ্গে জড়িত থাকার পাশাপাশি হলে মাদক বিক্রিও করতো। আমরা তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও এগুলো ছাড়েনি সে। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের একটু ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটেছে।

আশিকুজ্জামান জয়কে মারধরের পর সরেজমিন এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নম্বর কক্ষ পর্যবেক্ষণ করলে কয়েকটি মদের বোতল দেখতে পাওয়া যায়। তবে সেগুলোতে মদ না থাকলেও মদের টাটকা গন্ধ মেলে।

আশিকুজ্জামান জয় নিজ গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ কেন জানতে চাইলে তিনি মারধরের কথা স্বীকার করেন। তবে মদপানের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

যদিও আশিকুজ্জামান জয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় একটি দেশি মদের বোতল নিয়ে বসে আছেন তিনি। পাশে রাখা আছে আরো দুটি বোতল।

এছাড়াও ওই হলে থাকা শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের অনুসারী কয়েকজনের মাধ্যমে আরো বেশ কয়েকজনের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, যারা মাদক গ্রহণ এবং হল জুড়ে মাতলামির জন্য পরিচিত। তাদের নাম, বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষের একটি তালিকা বার্তা২৪.কমের হাতে এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বুধবার হাউস টিউটরসহ আমরা কক্ষটিতে গিয়েছিলাম। কক্ষটি আপাতত সিলগালা করে দিয়েছি। রুমে যে থাকতো, তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। আমরা পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

মাদক কারবারের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা বলবো। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবো।

 

 

;