সমাবর্তনকে ঘিরে বর্ণিল সাজে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ সমাবর্তন শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে, সমাবর্তনকে ঘিরে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে প্রশাসনিক ভবনের রাস্তা এবং প্রশাসন ভবন, কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলগুলোতে আলোক সজ্জা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ভবনে ও রাস্তায় নতুন করে রঙ ও আলপনা আঁকা হয়েছে। যা সমাবর্তনের আবেশকে বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যাম্পাস যেন নতুন করে যৌবন ফিরে পেয়েছে। এছাড়া সমাবর্তন ঘিরে ক্যাম্পাসে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চ প্রস্তুত। এছাড়া বিভিন্ন সাজসজ্জার কাজ করছে কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবন, টিএসসি, সাবাশ বাংলাদেশ মাঠ, হলগুলোর আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাসের ভেতরে রাস্তাগুলোতে নতুন করে কার্পেটিং করা হয়েছে। সবমিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সমাবর্তন বক্তা থাকবেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক সমাবর্তন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন। বিকাল পৌনে পাঁচটায় রাষ্ট্রপতির প্রস্থানের মাধ্যমে সমার্বতনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
এদিকে, ক্যাম্পাসের নিরাত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিকেল পৌনে পাঁচটায় আবার খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া সন্ধ্যায় থাকছে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতাবেন শিল্পী থাকবেন লুইপা ও খুর্শিদ আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে অনুষ্ঠানটি।
জনসংযোগ দফতর সূত্রে জানা যায়, এবারের সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন ৩ হাজার ৪৩২ জন গ্র্যাজুয়েট। এর মধ্যে কলা অনুষদের দশটি বিষয়ে মোট ৬৬৬ জন আইন অনুষদের আইন বিষয়ে ৮৯ জন বিজ্ঞান অনুষদের আটটি বিষয় মোট ৩৭৭ জন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ৫০৫জন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নয়টি বিষয়ে ৫৮২ জন জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ছয়টি বিষয় ৩১০ জন কৃষি অনুষদের চারটি বিষয়ে ৮৫ জন প্রকৌশল অনুষদের পাঁচটি বিষয়ে ১৩৫ জন চারুকলা অনুষদের দুটি বিষয়ে ৪৩ জন ও ইনস্টিটিউট সমূহে ৬ জন গ্রাজুয়েট স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি জন্য নিবন্ধন করেছে। এছাড়া এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রীর জন্য যথাক্রমে ৫১১ ও ১২৩ জন নিবন্ধিত হয়েছে।
সমাবর্তনের সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সুষ্ঠভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তন ঘিরে আমরা এসএসএফসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সভা করেছি। ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের আশেপাশেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পুরো ক্যাম্পাসকে নতুন করে সাজানো হয়েছে।