ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও মেধা তালিকায় ১২তম!

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মেধা তালিকা

মেধা তালিকা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর নাম আসার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই পরীক্ষার্থীর নাম মো. সাজ্জাতুল ইসলাম। পিতার নাম মো. রেজাউল করিম। তার ভর্তি পরীক্ষার রোল ২০৬০৫০।

বিজ্ঞাপন

গত ৮ নভেম্বর সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হওয়া ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার একজন আবেদনকারী ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় সিট প্ল্যান অনুযায়ী তার সিট পড়েছিল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, কোটবাড়িতে।

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার হলে যে উপস্থিতির তালিকা সরবরাহ করা হয় সেখানে শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরের ঘরে তার স্বাক্ষর নেই। তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। অথচ ১২ নভেম্বর ওই ইউনিটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ২০৬০৫০ রোলধারী সাজ্জাতুল ইসলাম ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এর মেধাতালিকায় ১২তম স্থান অধিকার করেছেন।

বিজ্ঞাপন
ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিলেও মেধা তালিকায় নাম এসেছে এক শিক্ষার্থীর

অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর নাম মেধাতালিকায় চলে আসার ব্যাপারে জানতে চাইলে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি প্রতিবেদককে আগামী রোববার তার অফিসে যেতে বলেন।

এ ব্যাপারে ওই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ড. শামিমুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেধা তালিকায় নাম আসলেও ওই শিক্ষার্থী তো ভাইভা দিতে আসেনি।

ভাইভা দিতে না এলেও পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর রোল নম্বর কিভাবে মেধাতালিকায় চলে এলো জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি এবং পরে তার অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলেন।

এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২০১৯-২০ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের বলেন, বরাবরের মতো ভর্তি পরীক্ষায় আমরা সর্বাধিক স্বচ্ছতা রাখার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়টি ভুলবশত হয়ে থাকতে পারে। কারণ যেহেতু সে পরীক্ষা দেয়নি সেহেতু তার ‘ওএমআর’ শিট ছাড়া ফল আসার কথা না। তবে ফল প্রস্তুতের ব্যাপারটি ইউনিটভিত্তিক দায়িত্বশীলদের কাজ। তাদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলব।

ফলাফলে এরকম আরও ‘অসঙ্গতি’ আছে কিনা জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার জানান, সেটা আমি বলতে পারব না। কারণ, ফলাফল প্রস্তুতের সময় আমি বা উপাচার্য ছিলাম না। ফলাফল ইউনিট প্রধানরাই করেছেন। তবে এরকম ভুল থাকলে তা বেরিয়ে আসবে।