সিটিং সার্ভিসে জাবি ছাত্রলীগ নেতার চাঁদা দাবি

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদার দাবিতে আটক করা ঠিকানা পরিবহনের বাসগুলো, ছবি: বার্তা২৪.কম

চাঁদার দাবিতে আটক করা ঠিকানা পরিবহনের বাসগুলো, ছবি: বার্তা২৪.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঠিকানা পরিবহনের সিটিং বাস আটক করে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক সংলগ্ন মহাসড়কে পাঁচটি বাস আটক করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা বাস মালিকদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ করেন কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

চাঁদা দাবি করা ছাত্রলীগের নেতা অর্ণব সরকার শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার অনুসারী বলে জানা গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ৪২তম ব্যাচের ও আল বেরুনী আবাসিক হলের ছাত্র।

ঠিকানা বাসের সাভার অঞ্চলের রোড সুপারভাইজার সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে আল বেরুনী হলের কিছু ছাত্রলীগকর্মী জয় বাংলা গেটে এসে ঠিকানা পরিবহনের বাস আটকায়। এ সময় ঠিকানা পরিবহনের পাঁচটি বাস আটক করে তারা। পরে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অর্ণব সরকার বাসগুলোর চাবি নিয়ে ক্যাম্পাসে চলে যান।

বিজ্ঞাপন

ঠিকানা পরিবহনের আঞ্চলিক রোড সুপারভাইজারের দাবি, গতকাল শুক্রবার বিকেলে একটা গাড়ি এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা মেরেছে। পরে অর্ণবের নেতৃত্বে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের কাছে জানতে চাইলাম কোন গাড়ি ধাক্কা মেরেছে। কিন্তু তারা সে তথ্য আমাকে দিতে পারেনি। ফলে আমরা ট্রেস করতে পারছি না এবং ঠিক বুঝতে পারছি না যে আসলে এমন ঘটনা ঘটেছিল কিনা। এখন আবার ৫০ হাজার টাকা দাবি করছে অর্ণব। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা বলেছে কোনো টাকা দিতে পারব না, তারা যা খুশি করুক।’

এদিকে রাত আটটার দিকে বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদককে ফোন করে বাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন বাসের ওই সুপারভাইজার।

টাকা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত অর্ণব সরকার বলেন, ‘হলের ছোট ভাই ঠিকানা বাসে আহত হয়েছে জানতে পেরে বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য জয় বাংলা গেটে যাই। মালিক পক্ষ আহত হওয়ার দায় নিতে অস্বীকৃতি জানালে আমি চলে আসি। পরে কি হয়েছে আমি জানি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। অভিযোগ করলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে গাড়ি আকটানো আল বেরুনী হলের এক ছাত্রলীগ কর্মী জানান, ‘গতকাল আমাদের ৪৪তম আবর্তনের বন্ধু মাসুদ বাস থেকে নামার সময় জয় বাংলা গেটের কাছাকাছি এলে বাসের হেলপার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমরা সেই সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবির জন্য আজ গেটে যাই। কিন্তু বাস কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে আমরা পাঁচটি বাস আটক করি। আর টাকা পয়সা দাবির বিষয়ে সিনিয়ররা হয়তো কিছু জানতে পারে। এ ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। আমরা বন্ধুর আহত হওয়ার বিচার চাইতে এসেছি।’