খুবিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ কাজ শুরু
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির স্মারক ম্যুরালের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
উপাচার্য বলেন, ‘আগামী ২২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ম্যুরালটির উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমিতে গড়ে ওঠা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিতব্য ‘কালজয়ী মুজিব’ নামাঙ্কিত এ শিল্পকর্ম বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথার্থ সম্মান ও শ্রদ্ধার স্মারক হিসেবে অনাগতকাল ধরে শিক্ষার্থীসহ সবার মনন ও চেতনায় প্রেরণা যোগাবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টবৃন্দসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, বেদিসহ ৩৮ ফুট উঁচু ও ৪৩ ফুট বিস্তৃত ‘কালজয়ী মুজিব’ নামাঙ্কিত এ শিল্পকর্মে বঙ্গবন্ধুর একটি প্রতিকৃতি, বিভিন্ন আকৃতির আটটি স্তম্ভ ও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ-উৎকীর্ণ একটি প্লেট এবং শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য একটি মঞ্চ থাকছে। মাঝখানে একই আকারের ছয়টি স্তম্ভ গড়ে উঠছে। এ স্তম্ভগুলো বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ ৬ দফার প্রতীক। কালো রঙয়ের স্তম্ভটি হবে শোকাবহ ১৫ আগস্টের স্মারক।
এ স্তম্ভের শীর্ষে উৎকীর্ণ শিল্পকর্মটির নাম আর নিচের অংশে থাকবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কর্তৃক শিল্পকর্মটি উদ্বোধনের ফলক। লাল আভার স্তম্ভটি লম্বভাবে উপরে উঠে আনুভূমিকভাবে সকল স্তম্ভকে বেষ্টন করে একটি কারাগারের প্রতিকৃতি হয়ে উঠবে। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল সংগ্রামী জীবনে বার বার কারারুদ্ধ হবার বিষয়টিকে উপস্থাপন করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটি প্রতীকী কারাগারের বাইরের অংশে স্থাপন করে বুঝানো হবে, কারাগারের লৌহকপাট তাঁর সংগ্রামী চেতনাকে অবরুদ্ধ করতে পারেনি। জাতির পিতার প্রতিকৃতিটির পাশেই রয়েছে গ্রানাইট পাথরে উৎকীর্ণ ইউনেস্কো-স্বীকৃত বিশ্ব-ঐতিহ্যের অংশ, ‘বাঙালির অভূতপূর্ব জাগরণের বিশুদ্ধ সংগীত’ বঙ্গবন্ধুর ‘৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ’।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ-কালের পরিধি পেরিয়ে সকল শোষিত, বঞ্চিত, মুক্তিকামী মানুষের পথপ্রদর্শক। কালের গণ্ডিকে জয় করে বঙ্গবন্ধু সকল দেশের, সকল কালের। তাই শিল্পকর্মের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কালজয়ী মুজিব’।