ইবি ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবি, প্রধান ফটকে তালা
টাকার বিনিময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা।
জানা যায়, সম্প্রতি ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। ওই ক্লিপটিতে টাকার বিনিময়ে ইবি ছাত্রলীগের কমিটি করার কথা ফাঁস হয়। এ ঘটনার ফলে ক্যাম্পাস থেকে সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ছাত্রলীগের এ কমিটিকে বিলুপ্তি করে নতুন কমিটির দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রলীগের ওই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টার দিকে দলীয় টেন্ট থেকে মিছিলটি বের করেন তারা। এসময় মিছিলে বিভিন্ন প্রতিবাদী শ্লোগান দেন তারা। এরপর মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিবের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিবের পাদদেশে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন তারা। এতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহগামী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনকারী দুপুর ২টার গাড়ি আটকা পড়ে। এরপর প্রায় আধা ঘণ্টা পর তালা খুলে দিলে গাড়িগুলো নির্ধারিত রুটে ছেড়ে যায়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আর্থিক লেনদেনের মধ্যদিয়ে বর্তমান কমিটি (পলাশ-রাকিব) পদে এসেছে। যেটি এখন সবার কাছে জানা। আমরা এ কমিটি কখনোই মানিনা। আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে এ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড.পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘ছাত্রলীগ যা দাবি করেছে, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমাধানের কোনো বিষয় নয়।’
প্রধান ফটক আটকানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে মেইন গেট আটকানো আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়নি।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের ৪০ লাখ টাকায় নেতা হবার অডিও ফাঁস হয়। এরপর সভাপতি-সম্পাদক দুজনকেই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এক মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব।