১২ সংগঠনের সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য গঠিত
সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত নিরাপদ গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১২টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য গঠিত হয়েছে। কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনে ৪ দফা আশু দাবি জানিয়েছে নতুন এ জোট।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র সংগঠনের নতুন এ জোট গঠনের ঘোষণা দেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১২টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে আমরা সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য গঠন করেছি। আজ থেকে কার্যক্রম শুরু করছি।
আখতার হোসেন বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভয়াবহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার ঢেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও কোনো অংশে কম নয়। সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাস সহিংসতার কারণে অসংখ্য শিক্ষার্থী খুন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে চারটি আশু দাবি উত্থাপন করে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য। দাবিগুলো হলো—ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বহিষ্কার ও বিচার করতে হবে; ঢাবির প্রক্টর গোলাম রব্বানীকে অপসারণ করতে হবে; হামলায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও হলে হলে দখলদারিত্ব, গণরুম, গেস্টরুম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজু ভাস্কর্য থেকে সন্ত্রাসবিরোধী গণপদযাত্রা দিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করবে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য।
নতুন জোটে অন্তর্ভুক্ত ছাত্র সংগঠনগুলো হলো-বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দেলন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, নাগরিক ছাত্র ঐক্য, ছাত্র গণমঞ্চ এবং স্বতন্ত্র জোট।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীর, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা, স্বতন্ত্র জোটের শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের আতিফ অনিক প্রমুখ।