বামজোটের মিছিলে হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ, ছবি: বার্তা২৪.কম

গতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ, ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কালো পতাকা মিছিলে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা কর্মীরা। মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহ প্রদিক্ষণ করে পরিবহন চত্ত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে বক্তারা গতবছরের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ভোটারবিহীন নির্বাচন অ্যাখ্যা দেন। এছাড়া ৩০ ডিসেম্বরকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উল্লেখ করে কালো দিবস হিসেবে পালন করার আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা কর্মীদের উপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানান তারা।

বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু বলেন, 'দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রশাসক গোষ্ঠী একই পথে হাঁটছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে যেমন উপাচার্য শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, ঠিক তেমনই সরকারও জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমরা স্বৈরাচারকে বাড়তে দিচ্ছি এইজন্য স্বৈরাচার বাড়ছে। আমাদের সময় হয়েছে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার। সম্মিলিত প্রতিবাদের মাধ্যমেই এই স্বৈরাচারকে বিতাড়ন করা সম্ভব হবে।'

বিজ্ঞাপন

ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান বলেন, 'গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের প্রতিবাদে যখন বামজোট মিছিলে নামে তখন পুলিশ দ্বারা হামলা করা হয়েছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন একাধিক নেতা-কর্মী। আমরা এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।'

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, 'বাংলাদেশের সবক্ষেত্রে দলীয়করণ করা হয়েছে। পুলিশকে দলীয় সংগঠনে রূপান্তর করা হয়েছে। পরপর দুইটা ভোটারবিহীন নির্বাচন করে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। অতীতের সব স্বৈরাচার সরকারকে যেভাবে মানুষ প্রতিহত করেছে এবারো দেশের মানুষ প্রতিহত করবে। অতীতে কোনো স্বৈরাচারী সরকার টিকে থাকতে পারেনি ভবিষ্যতেও পারবে না। সেই সাথে আজকের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারকে আহ্বান করছি হামলার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়ে জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করুন।'

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করছে আটটি বাম দলের জোট। 'গণতন্ত্রের কালো দিবস' ব্যানারে অ্যাখ্যা দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন তারা। এ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা চালালে আহত হন একাধিক নেতা কর্মী।