গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘রিয়েল এস্টেট সেলস এ্যান্ড মার্কেটিং’ ওয়ার্কশপ
খাদ্য-বস্ত্রের পরেই তৃতীয় মৌলিক চাহিদা হলো বাসস্থান। আর এই চাহিদা পূরণে সরকারিভাবে যেমন নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তেমনি গড়ে উঠছে বেসরকারি অনেক বাণিজ্যিক প্রকল্প। মূলত অপার সম্ভাবনাময় এ খাতের ভবিষ্যৎ উন্নতির বিষয়টি মাথায় রেখেই দিনব্যাপী ‘রিয়েল এস্টেট সেলস এ্যান্ড মার্কেটিং’ শীর্ষক ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির অব বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) পূর্বাচল আমেরিকান সিটিস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন কোম্পানির তিন শতাধিক সেল্স এক্সিকিউটিভরা অংশ নেন।
ওয়ার্কশপে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে আইইউবিএটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাজধানীতে আবাসন খাতের চাহিদা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সংখ্যা। তারা বলেন, রাজধানীর জীবনযাত্রার মানে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই নিকটস্থ আবাসন প্রকল্পের দিকে ঝুঁকছে। উচ্চবিত্তের পাশাপাশি নিম্নবিত্তরাও এসব প্রকল্পে প্লট-ফ্ল্যাট কিনছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইইউবিএটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব বলেন, সবাই মাথা খোঁজার ঠাঁই চায় এবং এটা প্রয়োজন। আর এ কারণেই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আবাসন সেক্টর খাতটি এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, অর্থনীতিতে আয়ের বড় একটি অংশ রিয়েল এস্টেট থেকে আসছে। এ সময় তিনি এস্টেট কোম্পানিগুলোকে শহরের পাশাপাশি গ্রামেও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এক্ষেত্রে সব পর্যায়ের মানুষের কথা বিবেচনা করতে হবে। আবাসন প্রকল্প যেন শুধু উচ্চবিত্ত মানুষের জন্য গড়ে না ওঠে। কারণ, এটা মৌলিক অধিকার।
ওয়ার্কশপে গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী, সহকারী অধ্যাপক মাহমুদ ওয়াহিদ রিয়েল এস্টেট সেল্স স্ট্র্যাটেজি ও অনলাইন মার্কেটিংয়ের নানা দিক নিয়ে বক্তৃতা করেন।
ওয়ার্কশপ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। এছাড়াও সবার অংশগ্রহণে আয়োজিত র্যাফেল ড্র-তে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের সৌজন্যে ঢাকা-সিঙ্গাপুর, ঢাকা-কুয়ালালামপুর ও ঢাকা-ব্যাংকক টিকেট দেওয়া হয়।