মোড়ক উন্মোচন হলো ঢাবি অধ্যাপকের ‘নক্ষত্র নিভে যায়’

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মোড়ক উন্মোচন হলো ঢাবি অধ্যাপকের কাব্যগ্রন্থ

মোড়ক উন্মোচন হলো ঢাবি অধ্যাপকের কাব্যগ্রন্থ

মোড়ক উন্মোচন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'নক্ষত্র নিভে যায়'। তিনি অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। বর্তমানে অবসরে রয়েছেন।

প্রয়াত কবিপত্নী সিতারা পারভীনকে উৎসর্গীকৃত কাব্যগ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সহকর্মীর প্রথম কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবদন্তীতুল্য শিক্ষকগণ। জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন- বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, শিক্ষাবিদ-কথাশিল্পী অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকতা বিভাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা। এ সময় কবিতা আবৃত্তি করে শোনান কবির সহোদর, খ্যাতিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলীকে আমি আমার সহকর্মী হিসেবেই জানতাম। কিন্তু ‘নক্ষত্র নিভে যায়’ হাতে আসার পর তাকে কবি হিসেবে প্রথম জানলাম। বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম তাতে অপরিণতির কোনো ছাপ নেই। এর একটি ব্যাখ্যা তার ভূমিকাতেই আছে। তিনি বলেছেন, শৈশব থেকে আমি কবিতার অনুরাগী। কবিতাকে আমি আমার মর্মে গ্রহণ করেছি।’

বিজ্ঞাপন

প্রয়াত কবিপত্নী সিতারা পারভীনকে স্মরণ করে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘বইটি উৎসর্গ করে লেখা কবিতায় কবি বলেছেন, সারাটি রাত্রি তারাটির সঙ্গে কথা হয়। এর থেকে বোঝা যায়, বইটির প্রধান বিষয় হলো নিমগ্নতা। এছাড়া এতে তিনি ব্যক্তিগত চিন্তা ও দেশ নিয়ে ভাবনা নিয়েই বলেছেন।’

অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘আজকের কবি আহাদকে আমরা শিক্ষক হিসেবেই পেয়েছি। কিন্তু ‘নক্ষত্র নিভে যায়’ তাকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিলো। কষ্টকে কীভাবে শিল্প করে তোলা যায় তাই করেছেন কবি আহাদ। তার কবিতার মাঝে প্রবহমান দার্শনিকবোধের কারণে তা ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণের গণ্ডি পেরিয়ে যায়।’

কবিতাই সমস্ত শিল্পের মূলপ্রাণ বর্ণনা করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘মাটির সঙ্গে মানুষের সংযোগ আছে বলেই আজও মানুষ বেঁচে আছে। আর বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় উপাদান হলো কবিতা।’

প্রথমে অন্যের কবিতা আবৃত্তি করতেন, পরে শিক্ষার্থীদের অনুরোধে কবিতার জগতে এসেছেন জানিয়ে কবি বলেন, ‘একসময় পিকনিক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য আমি কবিতা আবৃত্তি করতাম। শিক্ষার্থী ও সহপাঠীরা অনুরোধ করত আমি নিজেই যেন কবিতা লিখি। ব্যস লেখা শুরু করলাম। আর এখন একটা বই হয়ে গেল।’