বেরোবিতে নিয়োগ কার্যক্রমে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) চারটি সহকারী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি বিচারপতি মোশাররফ হোসেন ও এনায়েতুর রহীম এর একটি বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ কর্মকর্তার রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই রুল জারি করেন। একই সঙ্গে ওই চার কর্মকর্তাকে উক্ত চার পদে কেন পুনর্বহাল
করা হবে না জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মো. তারিকুল ইসলাম, মো. জিয়াউল হক,
সাহানা পারভীন ও মোছা. শাফিয়া শবনম ২০০৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে যোগদান করেন। নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতির জন্য তারা আবেদন করেন। সহকারী রেজিস্ট্রার পদ শূন্য না থাকায় ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ৪২তম সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনক্রমে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি দেন।
পরবর্তীতে সহকারী রেজিস্ট্রারের পদ শূন্য হওয়ায় ২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল ৪৩তম সিন্ডিকেট সভায় এই চার জনকে উক্ত শূন্য পদে (সহকারী রেজিস্ট্রার)
প্রতিস্থাপন করেন। ফলে চারটি সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) পদ শূন্য হয়। ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ওই চারটি পদসহ মোট পাঁচটি সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর ৫৫তম সিন্ডিকেট সভায় পাঁচটি পদের মধ্য থেকে দুটি পদে নিয়োগ প্রদান করা হয় এবং বাকি পদগুলো পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত
গৃহীত হয়।
এদিকে, কর্মকর্তা পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন নীতিমালা অনুযায়ী এই চার কর্মকর্তারা সকলেই আবারও আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে
পদোন্নতি পান। বর্তমানে তারা সকলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে বিভিন্ন দফতরে কর্মরত রয়েছেন। যেহেতু আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন
সেহেতু তাদের মূল পদ সহকারী রেজিস্ট্রার। কিন্তু ২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল ৪৩ তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের চার জনকে যে চারটি সহকারী রেজিস্ট্রার শূন্য পদ দেওয়া হয়েছিল, তা ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৬৭তম সিন্ডিকেট সভায় বাতিল করে পুনরায় তাদের মূলপদ সহকারী রেজিস্ট্রারের পরিবর্তে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) পদে অবনমন করা হয়। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে তারা হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের সঙ্গে কথা বলতে তার দফতরে গেলে জানা যায়, তিনি ঢাকায় আছেন। পরে তার মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।