রাবিতে যাত্রাপালা ‘পলাশী পুরাণ’ মঞ্চস্থ হবে রোববার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যাত্রাপালা পলাশী পুরাণের রিহার্সেলের দৃশ্য, ছবি: বার্তা২৪.কম

যাত্রাপালা পলাশী পুরাণের রিহার্সেলের দৃশ্য, ছবি: বার্তা২৪.কম

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে নিবেদন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মঞ্চস্থ করা হবে যাত্রাপালা ‘পলাশী পুরাণ’। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল চত্বরে আগামী ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় যাত্রাপালাটি মঞ্চায়ন করা হবে।

সিকান্দার আবু জাফরের ‘সিরাজউদ্দৌলা’ অবলম্বনে ‘পলাশী পুরাণ’র যাত্রারূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রহমান রাজু। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সিরাজের পরাজয় হয়েছিল পলাশীতে এসে। এই ভূমিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে যাত্রাপালার নাম রাখা হয়েছে পলাশী পুরাণ।’

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক রাজু আরও বলেন, ‘শীত এলেই এক সময় গ্রামগঞ্জে শোনা যেত যাত্রাপালার মাইকিং। কালের পরিক্রমায় এখন যাত্রাপালার মাইকিং শোনা যায় না বললেই চলে। যদিও কখনো শোনা যায়, তা নিয়ে শুরু হয় বিস্তর সমালোচনা। কারণ, এখন যাত্রার নামে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আমাদের এ যাত্রায় তা থাকবে না। এজন্য আমরা আমন্ত্রণপত্র ও টিকিটে লিখে দিয়েছি- এ যাত্রায় মুখ ফেরানোর কিছু নেই।’

গ্রামগঞ্জে আগে মাইকিংয়ে যাত্রাপালার টিকিটের দরও ঘোষণা করা হতো। সেখানে সাধারণত তিন ধরনের টিকিটের কথা শোনা যেত। ভিআইপি, সাধারণ চেয়ার এবং মাটিতে বসার দর। তবে মাটিতে বসার বিষয়টি ঘোষণার সময় ‘বাংলার মাটি’ বলা হতো। মাইকিং হতো- বাংলার মাটি মাত্র দুই টাকা, দুই টাকা, দুই টাকা।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে নাট্যকলা বিভাগ ভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক রহমান রাজু। তিনি জানান, পলাশী পুরাণ যাত্রাপালার টিকিটের তিনটি শ্রেণি করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দামের টিকিটের নাম রাখা হয়েছে ‘আরাম কেদারা’। যার মূল্যের জায়গায় লেখা হয়েছে- ‘টাকা শ’ পাঁচেক’। দ্বিতীয় সারির টিকিট সাধারণ কেদারার টিকিটের দাম লেখা হয়েছে- ‘টাকা শ’ খানেক।’ আর ‘বাংলার মাটি’র টিকিটের বিনিময় মূল্য রাখা হচ্ছে ৩০ টাকা মাত্র।

যাত্রার কনসার্ট শুরু হবে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায়। আর পালা শুরু হবে পৌনে ৭টায়। যাত্রাপালায় অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, রাজশাহী জেলার প্রশাসক মো. হামিদুল হক, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহা. মোকবুল হোসেন প্রমুখ।