ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ফোকলোর স্টাডিজ, চারুকলা, ইসলামের ইতিহাস এবং আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্থায়ী শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দের চলামন সংকটময় ইস্যু সমাধান করেছে প্রশাসন। নবনির্মিত এই ভবনের চতুর্থ তলায় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সঙ্গে ফ্লোর শেয়ার করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) উপাচার্য, ডিন ও বিভাগের সভাপতিদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে জরুরি সভার মাধ্যমে সমাধানের পথে পৌঁছান তারা।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের পঞ্চম তলায় ডিন এর কার্যালয় এবং ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ, চতুর্থ তলায় ইসলামের ইতিহাস এবং চারুকলা বিভাগ এবং তৃতীয় তলায় ফোকলোর স্টাডিজ এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
এর আগে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসলে ২৪ ঘণ্টার পর উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন তারা। এদিকে শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দের দাবিতে আজ ৫ নভেম্বর ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। উদ্ভূত পরিস্থিতির সুরাহা করতে উপাচার্যের ডাকা মিটিং-এ যৌক্তিক সমাধান হয় বলে জানা যায়। চারুকলার বরাদ্দকৃত রুমগুলোই ফিরে পাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন।
এবিষয়ে চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বলেন, আমরা ৪তলায় থাকবো। উপাচার্য, ডিন ও সভাপতিরা মিলে একটা যৌক্তিক সমাধানে আসা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি আতিফা কাফি বলেন, আমরা বসে সর্বসম্মতিক্রমে একটা সমাধানে আসার চেষ্টা করেছি। আমরা তো প্রশাসনের বাহিরের কেউ না। ডিন স্যার প্রস্তাব করেছেন এসি সেটআপ করার শর্তে পাঁচ তলায় যেতে। শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে আমরা ৫ তলায় যাব।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, চারুকলা বিভাগ বরাদ্দকৃত রুমেই থাকবেন। চতুর্থ তলায় ইসলামের ইতিহাসও আসবেন। বর্তমান তৃতীয় তলায় ডিন অফিস, কনফারেন্স ছিল তা ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগকে দেওয়া হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ৫ম তলায় ক্লাসরুমগুলো এসি সেটআপ করে দেওয়ার শর্তে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ৫ম তলায় যাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ৬-৭ বছরের দীর্ঘ জটের সমাধান করা হয়েছে। এটা প্রশাসনের কৃতিত্ব। বিভাগের সভাপতিরাও এ বিষয়ে সন্তুষ্ট। যৌক্তিক সমাধান হওয়ায় শিক্ষার্থীদের উশৃংখল পরিবেশ তৈরি না করার আহ্বান করেছেন তিনি।