৯ মাসে ডাকসুর ব্যয় মোট বাজেটের ৪৪ শতাংশ

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডাকসু ভবন, ছবি: সংগৃহীত

ডাকসু ভবন, ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ আটাশ বছর পর গত মার্চের ১১ তারিখ অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। এরপর গত ৩০ মে ডাকসুর জন্য আলাদা বাজেট ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়। এতে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয় ছাত্র সংসদের জন্য। বরাদ্দের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে ডাকসুর ব্যয় মোট বাজেটের প্রায় ৪৪ শতাংশ।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ডাকসুর চতুর্থ কার্যনির্বাহী সভা শেষে ডাকসু প্রতিনিধিদের নয় মাসের বিভিন্ন খরচের একটি তালিকা আসে গণমাধ্যমের কাছে।

বিজ্ঞাপন

তালিকায় দেখা যায়, নয় মাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উদ্যোগের খরচ হিসেবে তহবিল থেকে ৮৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৪ টাকা উত্তোলন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া ডাকসু কার্যালয় ব্যবস্থাপনা খাতে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ব্যয়কৃত অংশ মোট বাজেটের প্রায় ৪৪ শতাংশ।

এরআগে খসড়া বাজেটে ভিপির জন্য ৫ লাখ, জিএসের জন্য ৫২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদককে ১০ লাখ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদককে ১৫ লাখ, আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদককে ১৫ লাখ, সাহিত্য সম্পাদককে ১৫ লাখ, সংস্কৃতি সম্পাদককে ১৫ লাখ, ক্রীড়া সম্পাদককে ২০ লাখ, সমাজসেবা সম্পাদককে ১৩ লাখ, ছাত্র পরিবহন সম্পাদককে ১৫ লাখ টাকা এবং ডাকসু কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনা খাতে ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী, ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তহবিল থেকে ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা, সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৩৪ টাকা, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাহরিমা তানজিন ৬ লাখ ৭১ হাজার ৯০০ টাকা, স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী ৭ লাখ ৮২ হাজার ১২০ টাকা, সংস্কৃতি সম্পাদক আসিফ তালুকদার ১২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ছাত্র পরিবহন সম্পাদক শামস-ঈ-নোমান ৫৮ হাজার ৭০০ টাকা উত্তোলন করেছেন।

ডাকসুর সদস্যদের মধ্যে তহবিল থেকে তানভীর হাসান ৯০ হাজার টাকা, রাকিবুল হাসান ৬১ হাজার ৭০০ টাকা, রাইসা নাসের ৭৪ হাজার ৫০ টাকা, রকিবুল ইসলাম ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, মুহা. মাহমুদুল হাসান ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা, রফিকুল ইসলাম ৩০ হাজার টাকা, ফরিদা পারভীন ৬১ হাজার ৫০০ টাকা, সাইফুল ইসলাম ১ লাখ টাকা এবং যোশীয় সাংমা তহবিল থেকে ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। সদস্যদের জন্য আলাদা কোনো বাজেট ছিল না। এই টাকা তারা তুলেছেন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানীর তহবিল থেকে।

তবে প্রকাশিত ব্যয়ের হিসাবপত্রে ফান্ড থেকে ভিপি এবং এজিএসের টাকা উত্তোলনের কোনো বিবরণী পাওয়া যায়নি। বাজেটে এজিএসের জন্য কোনো বরাদ্দ ছিলনা। তবে ভিপি দাবি করেছেন তার জন্য বরাদ্দকৃত ৫ লাখ টাকা তিনি উত্তোলন করতে পারেননি। এ ব্যাপারে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আমার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা থেকে আমি কোনো অর্থ তুলতে পারিনি। এক ছাত্রীকে আর্থিক সহযোগিতা, সম্মিলিত র‍্যাগ-ডে উপলক্ষে আমি ডাকসুর ফান্ড থেকে ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি।