শাবিপ্রবি সংলগ্ন মহাসড়কের বেহাল দশা



আরাফ আহমদ, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
শাবিপ্রবি সংলগ্ন মহাসড়কের বেহাল দশা /ছবি: বার্তা২৪.কম

শাবিপ্রবি সংলগ্ন মহাসড়কের বেহাল দশা /ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের বেহাল দশায় দুর্ভোগে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী ও যাত্রীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তেমুখী পয়েন্ট পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে ভাঙা অবস্থায় রয়েছে, রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। আর সিলেট সিটি করপোরেশনের অধীনে মেরামত কাজ চলতে থাকা মদিনা মার্কেট এলাকায়ও রাস্তা নির্মাণ, ড্রেনের খনন কাজ চলছে প্রায় ৬ মাসেরও অধিক সময় ধরে।

ফলে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতে যানজট আর ধুলোবালি এখন মানুষের নিত্যদিনের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মালবাহী ট্রাক ও বাস চলাচল করে। যার ফলে দিন দিন এই সড়কের অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

মহাসড়কের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে তেমুখী পর্যন্ত সড়কে গর্ত ভরাট করতে দেওয়া হয়েছে ইট। এতে বাতাসে ছড়াচ্ছে ক্ষতিকর ধুলা-বালি। আর এই ধুলো ও ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গর্ত ভরাটে ফেলা হয়েছে ইট/ ছবি: বার্তা২৪.কম 

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ হাজার। প্রতিনিয়তই এতো সংখ্যক শিক্ষার্থীদের এই রোড দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়।

শিক্ষক-কর্মকর্তা আর কর্মচারী মিলিয়ে এই রোডে শুধুমাত্র এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করেন। ভাঙা রাস্তা আর তীব্র যানজটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রায়ই পড়ছেন ভোগান্তিতে। বাসগুলো যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে না পারায় ক্লাস-পরীক্ষার শিডিউল প্রায়ই ব্যাহত হচ্ছে।

এলাকাবাসীসহ এই সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করা যাত্রীরা জানান, দীর্ঘদিন যাবত বেহাল দশায় থাকা এই সড়কে চলতে গিয়ে তারা অতিষ্ঠ। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী, বয়স্ক যাত্রী কিংবা গর্ভবতী নারীদের এই রোডে চলাচল করা একবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধুলাবালিতে শ্বাসকষ্ট কিংবা এলার্জিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 এই মহাসড়কের দুপাশে বিশ্ববিদ্যালয় ও বাসস্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে অসংখ্য রেস্তোরা গড়ে উঠেছে। রাস্তার ধুলাবালি আর ইটের গুঁড়ো মিশে যাওয়া খাবার প্রতিনিয়ত খাচ্ছে মানুষ, যা মরণব্যাধি রোগবালাই সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নীরব।

শাবিপ্রবি সংলগ্ন মহাসড়কের বেহাল দশা /ছবি: বার্তা২৪.কম 

এই সড়কের সিএনজি চালক আব্দুস সাত্তার বলেন, রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে প্রতি সপ্তাহেই গাড়ি ঠিক করতে হয়। ভাঙা রাস্তায় সিএনজির সামনের চাকার স্কেল ভেঙ্গের যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইটের গুড়া ও ধুলাবালির কারণে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। সংশ্লিষ্ট সকলের উচিৎ দ্রুত রাস্তা সংস্কার করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোকাব্বির হোসেন বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে যাই। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রচুর ধুলোবালির কারণে এখানে মুখে মাস্ক পড়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিৎ দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারে এগিয়ে আসা।

শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম বলেন, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের গর্ত বন্ধ করতে এবং সংস্কারের জন্য ইট দেওয়া সত্যিই দুঃখজনক। জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট মহলের উচিৎ দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা।

সড়কের এই অবস্থা থেকে দ্রুত বের হয়ে না এলে স্বাস্থ্যের জন্য আরও অধিক ক্ষতিকর হবে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. কৃষ্ণপদ আচার্য।

তিনি বলেন, ইটের গুঁড়া ও ধুলাবালি শ্বাসনালীতে ঢুকে শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন জটিল রোগ হতে পারে। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সংক্রমণ হতে পারে। তা ছাড়া খাবারের সঙ্গে ধুলাবালি মিশলেও বিভিন্ন ধরনের অসুখ হতে পারে।

গাড়ি গেলেই উড়ে ধুলা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, মদিনা মার্কেটের ড্রেনের কাজ শেষ করতে মার্চ থেকে সর্বোচ্চ এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ড্রেনের কাজকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বর্ষাকালে মদিনা মার্কেট এলাকায় পানি জমা থাকে, তাই দীর্ঘমেয়াদী একটি সমাধানের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যাতে পরবর্তীতে কোন সমস্যা তৈরি না হয়।

সিলেটের সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গেইট থেকে তেমুখী পয়েন্ট পর্যন্ত মাটিতে সমস্যা আছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। তাই আমরা ‘সয়েল টেস্ট’ করে ঢাকায় পাঠিয়েছি। এখানে ইট দিয়ে স্বল্পস্থায়ী সমাধান করা হয়েছে। ঢাকা থেকে রিপোর্ট আসলে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান পাওয়া যাবে। কাজ করতেছি আশা করি দ্রুত সমাধান করতে পারবো।

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;