বইমেলায় 'ক্যারি'র অনুবাদ নিয়ে কুবির মীম, জোবায়ের
"স্টিফেন কিং" নামটি কি খুব পরিচিত মনে হচ্ছে? হ্যাঁ, পাঠক আপনারা ঠিকই ভেবেছেন, এই সেই হরর রাজা স্টিফেন। যার হাত ধরে শশাঙ্ক রিডেম্পশন, কনজিউরিং, ইট, কিংবা ডক্টর স্লিপের মতো গল্পের সৃষ্টি।
হরর রাজা খ্যাত স্টিফেন কিং এর কালজয়ী বই 'ক্যারি'। আর এই 'ক্যারি'র অনুবাদ নিয়ে আসছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য মীম এবং ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহম্মেদ।
কথিত আছে ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত এই বইটি লাভক্রাফটের পর পৃথিবীতে প্রথম হরর মিস্ট্রিকে সবার সামনে নিয়ে আসে। কালজয়ী এই বইটির অনুবাদ পাবেন অমর একুশে বইমেলা-২০২০ এ ভূমি প্রকাশের ৭২২ নং স্টলে। বইটির ডেমো প্রচ্ছদ তৈরি করেছের সজল চৌধুরী।
ধর্মান্ধ রালফ হোয়াইট আর মার্গারেট হোয়াইটের সংসারের একমাত্র সন্তান ক্যারি হোয়াইট। জন্মের পরপরই মা মার্গারেট হোয়াইটের চোখে ক্যারি মানেই জ্বলজ্যান্ত শয়তান। অদ্ভুত এক ক্ষমতা ক্যারির।
টেলিকাইনেসিস নামের সেই ক্ষমতার বিকাশ শুধু তার মাঝেই নয়, এর উদ্ভব আরো আগে। বংশানুক্রমে কেবল নারীদেহে বেড়ে উঠা এই ক্ষমতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশিত হলো ব্ল্যাক প্রমের রাতে। নিশ্চিহ্ন হলো চেম্বারলিন শহর। হাসিখুশি শহরটা এক রাতেই হয়ে গেল বধ্যভূমি।
বেঁচে থাকা মানুষের স্বীকারোক্তি, বিভিন্ন গবেষণা, আর বিচারিক কার্যক্রমের সাথে স্টিফেন কিং-এর বর্ণনায় পরিচয় মিলবে অসাধারণ শক্তিধারী এই মেয়ের।
স্টিফেন কিং এর বইয়ের অনুবাদ করা কঠিন, কারণ স্টিফেন যেভাবে আমাদের হরর অনুভূতি দেয় ঠিক সেভাবে বাংলায় পাঠককে অনুভূতি দেয়াটা কষ্টসাধ্য।
এই ব্যাপারে 'ক্যারি'র অনুবাদক জুবায়ের ও মীম বার্তা২৪ কে বলেন, ক্যারি এমন একটা বই যেটা অনুবাদ করতে গিয়ে স্টিফেন কিং নিয়ে নতুন ভাবে জেনেছি। হররের রাজা বলে খ্যাত মানুষটার সাহিত্য যে কতটা বিস্তৃত তা আসলে তার বই না পড়লে বোঝা মুশকিল।
সে তুলনায় আমরা বেশ নবীন হলেও নিজেদের প্রথম প্রয়াস হিসেবে তাকেই বেছে নেয়ার দুঃসাহস করেছি।মূল বইয়ের থ্রিল, সাসপেন্স বা ভয় অনুবাদে যতটা সম্ভব রক্ষার চেষ্টা করেছি দুজনেই। আশা করি, পাঠকদের নিরাশ করবেনা আমাদের প্রচেষ্টা।