৩ ঘণ্টা পর মুক্ত হলেন বশেমুরবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গোপালগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিহাস বিভাগ বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

ইতিহাস বিভাগ বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৫ম তলায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর মুক্ত হলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যসহ প্রায় ৩০ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মচারী শিক্ষার্থীদের শিবির কর্মী বলায় এবং হলের সিট বাতিলের হুমকি দেয়ায় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যসহ প্রায় ৩০ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী কারিমুল জানান, প্রশাসনের সহযোগিতায় কিছু কর্মচারী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শিবির কর্মী বলে আখ্যা দেয়। হলের সিট বাতিলের হুমকি দেয়। এর প্রতিবাদে সোমবার (৯ মার্চ) দুপুর ২টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১ নাম্বার রুমে মিটিং চলমান অবস্থায় বাইরে থেকে তালা মেরে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে বিভিন্ন শিক্ষকের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর বিকেল ৫টার দিকে তাদের তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

শিবির বলে আখ্যায়িত করার অভিযোগের ব্যাপারে রেজিস্ট্রার ড. নূরুদ্দীন বলেন, ‘কে বা কারা এ ধরনের কথা বলেছে তা আমার জানা নাই। এ ধরনের কোনো তথ্য আমার কাছে নাই।’

উল্লেখ্য, ইতিহাস বিভাগে ৩টি ব্যাচ ভর্তি হলেও কাগজে-কলমে অনুমোদন নেই। এ কারণে ইতিহাস বিভাগটি বন্ধের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এতে বিভাগটির ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী বিপাকে পড়ে। আর এজন্যই বিভাগটি অনুমোদনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: বশেমুরবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য-শিক্ষক অবরুদ্ধ