ফাঁকা ক্যাম্পাসে পোষা প্রাণীদের খাবার দিচ্ছেন তিন শিক্ষার্থী
করোনাভাইরাস ঝুঁকি এড়াতে দেশের প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।
৭৫৩ একরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ হয় গত ১৮ মার্চ। ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার কয়েকদিন পর বন্ধ হয়ে যায় আশেপাশের দোকানগুলো। জনশূন্য হয়ে যাওয়ায় ফলে খাদ্য সংকটে পড়ে ক্যাম্পাসের কুকুর-বিড়ালগুলো।
এমন সময়ে ফাঁকা ক্যাম্পাসে অভুক্ত সকল প্রাণীদের জন্য এগিয়ে এলেন রাবির তিন শিক্ষার্থী। তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের প্রসেনজিৎ কুমার, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকী ও নাট্যকলা বিভাগের ইমামুল বাকের আপ্যোলো। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়মিত কাজ করছেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তুষার।
তিন জন মিলে হাতে নিলেন ‘ক্যাম্পাস পোষাপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প! নিজ খরচে রান্না করে খাবার বিলি করেন ক্যাম্পাসের অভুক্ত প্রাণীগুলোর মাঝে। প্রতিদিন বেলা ১১টায় ও রাত সাড়ে ৮টায় ক্যাম্পাসের রাকসু ভবনের পাশে, পানির ট্যাঙ্কের পাশে, সিরাজী ভবনের সামনেসহ বিভিন্ন পয়েন্টে খাবার দেন তারা।
এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ব্যাপারে প্রসেনজিৎ কুমার বলেন, সম্প্রতি করোনাভাইরাসে সারা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে। পশু-পাখিরাও খাবার সংকটে ভুগছে। এটি চিন্তা করে নিজেদের অর্থায়নে প্রকল্পটি চালু করে ক্যাম্পাসের প্রাণীদের দুবেলা খাবার সরবরাহ করার দায়িত্ব নিয়েছে রাবির কিছু শিক্ষার্থী। যতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় না খুলছে এবং সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় না যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত প্রকল্পটি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সকাল দশটা এবং সন্ধ্যায় আমরা নিজেরা প্রাণীদের জন্য খাবার রান্না করছি। প্রতিদিন গড়ে ১৫ কেজি চাউল ও ডাউল রান্না হচ্ছে। তারপর আমরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে খাবারগুলো সরবরাহ করছি। এতে প্রায় চল্লিশটি কুকুর দুবেলা করে খেতে ।